কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
এবিষয়ে জেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-২ অমিতাভ মণ্ডল বলেন, শহরে ডায়ারিয়া বা আন্ত্রিকের কোনও খবর আমাদের কাছে নেই। কেউ এবিষয়ে জানায়নি। তবে সমস্যা হলে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে। এবিষয়ে পুরাতন মালদহ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সৌভিক দাস কোনও মন্তব্য করতে চাইনি। শহরের এক ওষুধ বিক্রেতা অনিল সরকার বলেন, এই সমস্য বেশ কিছুদিন ধরেই চলছে। আমার দোকানে পাশের অনেকেই কয়েকদিন ধরে ডায়ারিয়ার উপসর্গে ভুগছেন। মঙ্গলবাড়ির বাসিন্দা বিনয় পাল বলেন, আমার ছোট মেয়ে ক’দিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। আশপাশের অনেকেরই ঘনঘন পায়খানা ও বমি হচ্ছে। মেয়ের চিকিৎসা করিয়ে এখন সুস্থ হলে ও মুখ হাত শুকিয়ে গিয়েছে। শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুরজিৎ ঘোষ বলেন, বিষয়টি উদ্বেগজনক। আমার পরিবারের সকলেই অসুস্থ। তাদের চিকিৎসা করাচ্ছি।
পুরাতন মালদহ শহরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এক খবরের কাগজ বিক্রেতা মলয় দাস বলেন, আমার পেট খারাপ হয়েছে। কারণ বুঝতে পারছি না। পাড়ায় পাড়ায় একই সমস্য দেখা দিয়েছে। পুরাতন মালদহ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী নবীন হালদার বলেন, আমি নিজে কয়েকদিন ধরে অসুস্থ। কী কারণে এমন সমস্যা হল বুঝতে পারছি না। বিষয়টি ভাইস চেয়ারম্যানকে দেখতে বলব। এবিষয়ে পুরাতন মালদহ পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক আধিকারিক সাধন দাস বলেন, কীভাবে ধরনের অসুখ ছড়াল তা আমরা বলতে পারছি না। বিষয়টি পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়ে খোঁজ নিতে বলেছি।
পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূল কংগ্রেসের কার্তিক ঘোষ বলেন, শুধু শহর নয়, বিভিন্ন এলাকায় শিশুদের সমস্যা হচ্ছে। কিছুদিন আগে মৌলপুর হাসপাতলে শিশুদের বমির উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা করাতে দেখেছি। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট বিভাগকে জানিয়েছি। এখানে শহরের জল থেকে কোনও অসুখ ছড়াবার সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়ার পরিবর্তন জনিত কারণে এধরনের ভাইরাস ছড়াতে পারে। সেটি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলতে পারবেন। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার অমিত দাঁ বলেন, হাসপাতলে বেশ কয়েকজন ডায়ারিয়া আক্রান্ত ভর্তি রয়েছেন। শুনেছি আউটডোরেও ডায়ারিয়ার উপসর্গ নিয়ে কেউ কেউ চিকিৎসা করাচ্ছেন। বিষয়টির উপর আমরা নজর রাখছি। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক বলেন, বমির সঙ্গে ঘনঘন শৌচাগারে যাওয়ার বিষয়টি জলবাহিত রোগের লক্ষ্মণ হতে পারে।
পুরাতন মালদহ শহর জুড়েই ডায়ারিয়ার উপসর্গ দেখা দিয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় এই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকে চিকিৎসকের কাছে ছুটছেন। এলাকাবাসীর ধারণা, জলবাহিত কোনও কারণে এধরনের অসুখ শহরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষ করে শিশুরা এই অসুখে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। পাশাপাশি বড়দেরও এধরনের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। শহরের ৮, ৯, ১৪, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা দিয়েছে। হঠাৎ করে পেট খারাপ হয়ে যাওয়ায় অনেকে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। বিশেষ করে শিশুদের অবস্থা এতে খরাপ হয়ে পড়ছে। অভিবাবকরা বুঝে উঠতে পারছেন না কীভাবে কোথা থেকে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। অগত্যা তাঁরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে অথবা স্থানীয় চিকিৎসকদের কাছে ছুটছেন। যদিও এধরনের অসুখ বেশি দিন স্থায়ী হচ্ছে না। কেউ একবার আক্রান্ত হলে দুই একদিনের মধ্যেই নিরাময় হয়ে যাচ্ছে। তবে সেসময় বাড়ির অন্য কেউ আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। বাসিন্দাদের বক্তব্য, এধরনের অসুখ এর আগে দেখা যায়নি। অনেকে পানীয় জল পরীক্ষার দাবি তুলেছেন। পেট কামড়ানোর সঙ্গে ঘনঘন বমি হচ্ছে বলে অভিযোগ। তার সঙ্গে অনেকেই বেগ পেয়ে শৌচাগারে দৌড়াচ্ছেন। এধরনের সমস্যা তৈরি হওয়ায় শহরের বাসিন্দারা উদ্বেগে রয়েছেন।