কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বর্তমান তৃণমূল নেতা চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পরেশচন্দ্র অধিকারী বলেন, এবারে শুধুমাত্র ২ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলারের ওয়ার্ডটি তফসিলি মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় তিনি দাঁড়াতে পারবেন না। এছাড়া সমস্ত ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলারা দাঁড়াতে চাইলে সমস্যা নেই। তবে কারা দাঁড়াবেন সেই ব্যাপারে এখনই বৈঠক হয়নি। দলের নেতৃত্ব চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। সময় এলেই সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
গত পুর নির্বাচনে ন’টি ওয়ার্ডের মধ্যে ফরওয়ার্ড ব্লক ছ’টি, সিপিএম দু’টি এবং কংগ্রেস একটি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছিল। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ফরওয়ার্ড ব্লকের টিকিটে জেতা মিঠু সিংহ সরকার পুরসভার চেয়ারপার্সন হয়েছিলেন। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অমিতাভ রায় ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এবারে ৫ নম্বর ওয়ার্ডটি সাধারণ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। সেখানে দাঁড়াতে বিগত বোর্ডের চেয়ারপার্সনের কোনও অসুবিধা নেই। অপরদিকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডটি সাধারণ হিসেবে রয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান সেখানেও দাঁড়াতে পারবেন। শুধুমাত্র ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারের আসনটি সংরক্ষণের গেরোয় পড়েছে। তবে নির্বাচনের ঘণ্টা বাজতেই বিগত বোর্ডের কাউন্সিলাররা এবারে টিকিট পাবেন কি না তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা চলছে। ইতিমধ্যেই পুরনো ও নব্য তৃণমূলীদের মধ্যে পুরসভা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার নিয়ে তরজা চলছে। দলবদল করে আসা কাউন্সিলারদের দিয়ে বোর্ড চালালেও একাধিক কাউন্সিলারের নামে নানা অভিযোগ ওঠায় অনেকেই দলের মধ্যে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। বেশিরভাগই প্রকাশ্য দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকছেন না। যদিও তৃণমূলের একটি অংশের দাবি, গত পুরসভা নির্বাচনে মেখলিগঞ্জে বামফ্রন্টের ভালো ফল করার পিছনে একমাত্র অবদান রয়েছে প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর। এবারে পরেশবাবু তৃণমূলের সৈনিক। সেদিক থেকে এবারে তৃণমূল পুর নির্বাচনে ভালো ফল করার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে গত লোকসভা নির্বাচনের পর কোচবিহার জেলার অন্যান্য পুরসভা এলাকার মতো মেখলিগঞ্জে ও তৃণমূলের থেকে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবারের পুরসভা নির্বাচনেও ভালো ফলের ব্যাপারে দৃঢ় প্রত্যয়ী বিজেপি শিবির। তবে গতবছরের তুলনায় এবারে অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে বাম শিবির।