কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম ব্যস্ত শিলিগুড়ি শহরে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য ক্রমশ বাড়ছে। মাঝেমধ্যেই ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীরা চুরি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ সংগঠিত করে ভিনরাজ্যে গা ঢাকা দিচ্ছে। কয়েক মাস আগে একটি ঋণদান সংস্থায় ডাকাতি হয়। ওই ঘটনায় জড়িত বিহারের দুষ্কৃতীরা এখনও অধরা। কয়েকদিন আগে শহরের এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টকে অপহরণ করে বিহারে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। শহরে নজরদারি বাড়ানোর দাবি বহুদিনের। সেই মতো শহরের প্রতিটি ওয়ার্ড মুড়ে ফেলা হবে সিসিক্যামেরায়।
মঙ্গলবার সাংবাদিক সম্মেলন করে পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার বলেন, কয়েকদিন আগে এসজেডিএ’র সহযোগিতায় ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ৩২টি সিসিক্যামেরা বসানো হয়েছে। কিছুদিন আগে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৩২টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। শীঘ্রই ৯, ১১, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০টি করে ক্যামেরা বসানো হবে। ওয়ার্ডগুলিতে সমীক্ষা চলছে। বাকি ওয়ার্ডগুলিও সিসিক্যামেরায় মুড়তে প্রায় ১০কোটি টাকা লাগবে। নতুন পুরবোর্ড গঠনের পর আমরা এই কাজ করব। এদিন পুরসভার কাউন্সিলার নান্টু পাল, প্রদীপ গোয়েল, অলোক ভক্ত, দুর্গা সিং ও সত্যজিৎ অধিকারী উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্যও শহরের প্রধান প্রধান রাস্তাগুলির ধারে সিসিক্যামেরা বসানোর কথা বলেছেন। তিনি বলেন, গ্রিনসিটি মিশন থেকে সাতকোটি টাকা মিলেছে। আরও ছ’কোটি টাকা পাওয়া যাবে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সেই অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন মিলেছে। হিলকার্ট রোড, বর্ধমান রোড, বিধান রোড সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলিতে সিসিক্যামেরা বসানো হবে। সেগুলি নিয়ন্ত্রণ করবে পুলিস। এতে শহরের আইন-শৃঙ্খলার উপর যেমন নজর রাখা যাবে, তেমনি নির্দিষ্ট সময়ের পর কারা ভ্যাটে জঞ্জাল ফেলছে তাও বোঝা যাবে।
প্রসঙ্গত, বহুদিন আগেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় সিসিক্যামেরা বসিয়েছে পুলিস। মেয়র ও বিরোধী দলনেতার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হওয়ার পর শহরে ক্যামেরার সংখ্যা আরও বাড়বে। এতে নজরদারি চালাতে সুবিধা হবে বলেই পুলিস অফিসারদের আশা।
অন্যদিকে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ক্যামেরা বসানো নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছেন মেয়র। তিনি বলেন, ক্যামেরা বসানো নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। নিয়ম অনুসারে ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করার কথা পুলিসের। কিন্তু ২০ নম্বর ওয়ার্ডে বসানো ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে পার্টি অফিস থেকে। এটা ঠিক নয়। এরপেছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে। ওয়ার্ডে কোনও অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর তা সহজে ধামাচাপা দেওয়া যাবে। কাজেই ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব পুলিসের হাতে দেওয়া উচিত।
বিরোধী দলনেতা অবশ্য এমন অভিযোগ মানতে চাননি। তিনি বলেন, মেয়র শহরবাসীর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। শহরের উন্নয়নমূলক কাজ করতে ব্যর্থ। বর্তমান বোর্ড ব্যর্থতার নজির গড়েছে। শহরবাসী ওঁদেরকে এবার কয়েক গোল দেবে। এটা বুঝতে পেরেই মেয়র আষাঢ়ে গল্প ফাঁদছেন। পার্টি অফিস থেকে সিসিক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা হয় না। নিয়ম অনুসারে পুলিসই তা নিয়ন্ত্রণ করছে।