কর্মরতদের সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা ও ব্যবহারে সংযত থাকা দরকার। ... বিশদ
এদিন মেডিক্যালের কন্ট্রাকচুয়াল ওয়ার্কার ইউনিয়নের কয়েকশো অস্থায়ী কর্মী কাজ বন্ধ রেখে সকাল থেকে আন্দোলনে নামেন। সুপারের চেম্বারের সামনে তাঁরা প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভও দেখান। পরিস্থিতি সামাল দিতে মেডিক্যাল ফাঁড়ি সহ মাটিগাড়া থানা থেকে পুলিস ঘটনাস্থলে চলে আসে। বিক্ষোভকারীরা জানিয়েদেন, তাঁদের বেতন বৃদ্ধি সহ অন্যান্য দাবিগুলি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের লাগাতার আন্দোলন চলবে।
সংগঠনের সভাপতি বিজয় মল্লিক বলেন, আমাদের শুধুমাত্র সাফাই কর্মীর কাজের জন্য নিয়োগ করা হয়েছিল। কিন্তু সাফাইয়ের কাজের পাশাপাশি এখন এমআরডি বিভাগ, ফেসিলিটি ম্যানেজার, মেন ওটি, গাইনো ওটি, ওপিডি সার্কেল, এমার্জেন্সি সহ ওপিডি’র টিকিট কাউন্টারে বসানো হচ্ছে। কিন্তু অতিরিক্ত কাজ করানো হলেও মজুরি ৭০০০ টাকাই দেওয়া হচ্ছে। আমরা অতিরিক্ত কাজে করতে চাই। তাতে কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু মজুরি বৃদ্ধির দাবিতেই এই আন্দোলন ছিল আমাদের।
সংগঠনের সম্পাদক প্রশান্ত সেনগুপ্ত ও যুগ্ম সম্পাদক সজল দত্ত বলেন, বর্তমানে আমরা ১৩৫ জন এমন অস্থায়ী কর্মী আছি। আমাদের পাশাপাশি প্রায় ২০০ সহায়ক অস্থায়ী কর্মীও আছেন। কমবেশি সকলের মজুরি মাসে ৬০০০-৭০০০ টাকা। আমরা চাই এই মজুরি বৃদ্ধি হোক।
মেডিক্যালের সুপার কৌশিক সমাজদার বলেন, অস্থায়ী কর্মীদের দাবিদাওয়া থাকতেই পারে সেটা তাঁরা তাদের নিযুক্ত করা এজেন্সিকে জানাবে। যেহেতু আমরা তাঁদের এজেন্সির মাধ্যমে নিয়েছি তাই এই ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। এজেন্সিকে জানালে ওই এজেন্সি আমাদের জানাবে। এভাবে কাজ বন্ধ করা যায় না। তাই আমি ওঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করিনি। যাঁরা এদিন কাজ করেননি তাঁদের ব্যাপারে এজেন্সিকে জানাব। এজেন্সি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতি চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, পর্যাপ্ত কর্মীর অভাবে ঠিকাকর্মীদের দিয়ে কিছু কাজ করানো হচ্ছে। তবে অভাব অভিযোগ থাকলে এজেন্সির মারফত আসতে হবে। তবেই আমরা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে পারব।
এদিন ওই কর্মীদের আন্দোলনের জেরে কয়েকটি বিভাগের কাজ থমকে যায়। মেডিক্যালের এমার্জেন্সির টিকিট কউন্টারে প্রায় দু’ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রোগীদের দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। চোপড়ার ছত্তরগছ থেকে আসা এক রোগীর আত্মীয় মহম্মদ মুস্তাক বলেন, আমার আাত্মীয় মুশারেফ খাতুন আগুন পুড়ে গিয়েছে। ওকে মেডিকেল আনা হয়। কিন্তু টিকিট কাউন্টারে কেউ না থাকায় দু’ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে।