কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
লম্বার্ডি প্রদেশের কোডোগনো শহর থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কোডোগনো শহরে যে তিনজনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে, তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তি ও তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রয়েছেন। গোটা পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কোডোগনোর মেয়র ফ্রান্সিসকো পাসেইরিনি।
করোনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে দক্ষিণ কোরিয়াতে। চীন লাগোয়া এই দেশে গত চারদিনে আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। শনিবার পর্যন্ত ৪৩৩ জনের শরীরের করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী কিম গং –লিপ জানিয়েছেন, আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তুমুল উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে বেশ কয়েকজন চিয়ংডো হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দক্ষিণ কোরিয়ার মোট আক্রান্তের বড় অংশই ডেগু ও গেয়ংসাংয়ের বাসিন্দা। সংশ্লিষ্ট এলাকাকে ‘স্পোশ্যাল ম্যানেজমেন্ট জোন’ ঘোষণা করেছে প্রশাসন। সেখানকার হাসপাতালগুলিতে যুদ্ধকালীন তত্পরতায় চিকিত্সার সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, সীমান্ত পেরিয়ে চীন থেকে যাতে কোনও আক্রান্ত দক্ষিণ কোরিয়ায় চলে আসতে না পারে, তার জন্য কড়া নজরদারি চলছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, মোট আক্রান্তের মধ্যে ২৩০ জন ডেগু’র একটি গির্জায় এসেছিলেন। সেখানে করোনায় আক্রান্ত এক মহিলা দু’বার প্রার্থনায় যোগ দিয়েছিলেন। তার থেকেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই গির্জায় আসা খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী মানুষদের শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ২৬১ জন কাশি সহ একাধিক সমস্যায় ভুগছেন। সম্ভাব্য আক্রান্তদের মধ্যে ৪ জন জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে চীনে গিয়েছিলেন। তবে, চীনের হুবেই প্রদেশের কাছাকাছি তাঁরা যাননি বলে খবর।
শিনচেওলজি গির্জার অধীনে ৭৪টি প্রার্থনাস্থল রয়েছে। সেগুলি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন, যে মহিলার শরীরে প্রথম করোনা ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল, তিনি সব মিলিয়ে ১হাজার ১৬০ জনের সংস্পর্শে এসেছিলেন। অপরদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যে কোনও সভা, সমিতি ও মিছিল আয়োজন না করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। তা সত্ত্বেও এদিন সিওলে সরকার বিরোধী একটি প্রতিবাদ মিছিলে বহু মানুষ অংশ নেন। এছাড়া, সেনার মধ্যেও তিনজন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বেশ বেড়ে গিয়েছে।
এদিকে, সংখ্যার নিরিখে ফারাক অনেক হলেও, চীনের পরেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন ইরানে। সেদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র কিআনৌস জাহানপৌর জানিয়েছেন, এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের আক্রমণে ৫ জন মারা গিয়েছেন। আক্রান্তের সংখ্যা ২৮। রাজধানী তেহরান ছাড়াও কোম, আরাক ও রসহতে তাঁদের চিকিত্সা চলছে। চীন থেকে আসা শ্রমিকদের থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, কোমে একটি সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলছে। চীনের একটি সংস্থা এটি তৈরির দায়িত্বে রয়েছে। সেখানে কাজ করতে আসা চীনের শ্রমিকদের থেকে এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা থাবা বসিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে। প্রাণঘাতী ভাইরাসে সেখানে আক্রান্ত হয়েছে ১১ জন। এদের মধ্যে ফিলিপিন্স এবং বাংলাদেশের এক নাগরিক রয়েছেন। চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাঁরা। আমিরশাহির স্বাস্থ্য ও রোগ প্রতিরোধ মন্ত্রকের তরফে এই তথ্য জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, চীনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ হাজার ৩৪৫। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৬ হাজার ২৮৮। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল চীনে পৌঁছেছে। করোনার প্রকোপে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত উহান প্রদেশেও তারা যেতে পারেন।