কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
এদিন ভারতীয় দূতাবাসের তরফে ট্যুইটে আরও জানানো হয়েছে, ওই ১২ জন আক্রান্ত ভারতীয় চিকিৎসায় ভালো সাড়া দিচ্ছেন। সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট আগামী ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চলে আসার কথা। যাঁদের শরীরে সংক্রমণ থাকবে না, তাঁদের অবিলম্বে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা হবে। গত সপ্তাহেই ওই জাহাজের কোয়ারান্টাইন পিরিয়ড (সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে সংক্রামিতকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা) শেষ হওয়ার পর বহু যাত্রীকে জাহাজ ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গত শনিবারই প্রায় ১০০ জন যাত্রী জাহাজ থেকে নেমেছিলেন। যদিও, জাপানের মুখ্য ক্যাবিনেট সচিব ইয়োশিদে সুগা জানান, এখনও প্রায় ১০০০ জন যাত্রী এবং জাহাজকর্মী জাহাজেই রয়ে গিয়েছেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি টোকিওর কাছে ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙর করে জাহাজটি। সেখানেই এক যাত্রীর শরীরের করোনা সংক্রমণের অস্তিত্ব মেলার পর জাহাজটিকে কোয়ারান্টাইন পিরিয়ডে রাখা হয়। যদিও, জাপানের ওই ব্যবস্থা কতটা কার্যকর ছিল, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে। শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব না মেলায় গত বুধবার জাহাজ থেকে নামার সুযোগ পেয়েছিলেন এক মহিলা যাত্রী। নেমে সোজা ট্রেনে করে উত্তর টোকিওর বাড়িতে ফিরে যান বছর ষাটের ওই বৃদ্ধা। শুক্রবার প্রবল জ্বর হয় তাঁর। কিন্তু, শনিবার পরীক্ষায় তাঁর শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলে। ঘটনার পর জাপানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কাতসুনোবু কাটো স্বীকার করেছেন, জাহাজের কমপক্ষে ২৩ জন যাত্রীকে যথাযথ পরীক্ষা না করেই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের হার আচমকা বৃদ্ধি পাওয়ায় রবিবার দেশজুড়ে হাইঅ্যালার্ট জারি করল দক্ষিণ কোরিয়া। গত দু’দিনে দক্ষিণ কোরিয়ায় সংক্রামিত ব্যক্তির সংখ্যা একলাফে ৫৫৬-তে পৌঁছে গিয়েছে। তারপরই এদিন প্রেসিডেন্ট মুন-জায়ে-ইন হাই অ্যালার্ট জারির ঘোষণা করে বলেছেন, ‘আগামী কয়েকদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।’ সংক্রমণের উৎসস্থল চীনকে প্রথম ধরলে আক্রান্তের নিরিখে দক্ষিণ কোরিয়া তৃতীয় স্থানে রয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজ। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০’র গণ্ডি টপকে গিয়েছে। অন্যদিকে, ইরান ও ইতালিও নিজেদের মতো করে সংক্রমণ আটকানোর একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। বাণিজ্য হাব মিলানের পার্শ্ববর্তী উত্তর ইতালির প্রায় ডজনখানেক শহরের পঞ্চাশ হাজার বাসিন্দাকে বাড়িতেই থাকার আর্জি জানিয়েছে প্রশাসন। বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, অফিস, দোকানপাটও। ইতালিতে এখনও পর্যন্ত ডজনেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। একই ভাবে ইরানেও রবিবার থেকে প্রায় ১৪টি প্রদেশের স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের।