শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
সাদা প্যান্ট-শার্ট পরে ভক্তদের ধর্মীয় বাণী শোনালেও ভোলেবাবার জীবনযাপন কিন্তু একেবারেই সাধারণ নয়। তাঁর পছন্দ বিলাসবহুল গাড়ি, পাঁচতারা হোটেলের সুবিধাযুক্ত আশ্রমের ঘর। বিলাসবহুল জীবনের পাশাপাশি সুন্দরী মহিলাও পছন্দের তালিকায় ছিল তাঁর। আশ্রমের এক প্রান্তে ভোলেবাবার ঘর। সেখানে মাত্র সাতজনের প্রবেশাধিকার। তাঁদের মধ্যে সুন্দরী মহিলাও রয়েছেন। আশ্রমের নিরাপত্তায় গড়ে তোলেন তিনটি বাহিনী— নারায়ণী সেনা, গরুড় যোদ্ধা এবং হরি বাহক।
ধর্মগুরুর পথ ধরে সাফল্যের শিখরে উঠতে সময় লাগেনি ভোলবাবার। উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও দিল্লি, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর আশ্রম। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ গতিতে বাড়তে থাকে ভক্তের সংখ্যা। ভক্তদের বিশ্বাস এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, তাঁরা মাঝেমধ্যে বলে উঠতেন বাবার আঙুলে নারায়ণের মতো ‘চক্র’ দেখা যায়। একটি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে, মইনপুরির আশ্রমের জমিটি দান করেছিলেন বিনোদবাবু। আশ্রমটি তৈরির সময় অন্তত ২০০ জন অর্থ সাহায্য করেছিলেন। আশ্রমের গেটে তাঁদের নাম খোদাই করে রাখা হয়েছে। সবার উপরে রয়েছে বিনোদবাবুর নাম। তিনি দিয়েছেন আড়াই লক্ষ। ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত যাঁরা অনুদান দিয়েছেন, তাঁদের নাম শোভা পাচ্ছে। আগ্রা, শাহজাহানপুর সহ বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে ভোলেবাবার সম্পত্তি। অনেক ক্ষেত্রেই জোর করে জমি দখল করে আশ্রম তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। ভোলেবাবার এহেন কীর্তিকলাপ প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফুঁসছেন ভক্তদের একটি বড় অংশ। মঙ্গলবারের ঘটনার পর ‘কমান্ডো’ পরিবেষ্টিত হয়ে ধর্মগুরুর পালিয়ে যাওয়ার ছবি ধরা পড়েছে সিসি ক্যামেরায়। ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কঠোর নিরাপত্তায় দ্রুত গতিতে বেরিয়ে যাচ্ছে তাঁর কনভয়। কমান্ডোদের মতো কালো পোশাক পরে রয়েছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁরা অন্তত ১২টি বাইকে চেপে পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন ভোলেবাবাকে।