দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, বিশালগড়ের চেলিখলায় চিনিবোঝাই একটি গাড়ি দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল। আচমকাই তা ধাক্কা মারে একটি বাইকে। ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান দুই আরোহী। দমকল দপ্তরের কর্মীরা আহত দু’জনকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাইকচালক বিষ্ণু লোধকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অপর আরোহী বিজয় দাসকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আগরতলার জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাইকে থাকা দুজন সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। মৃত বিষ্ণু লোধ পেশায় একজন বাইক মেকানিক। বক্সনগর থেকে কাজ সেরে বাড়িতে ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় চেলিখলা এলাকায়। উত্তেজিত জনতা রাস্তা অবরোধ করে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বিশালগড় মহকুমা পুলিস আধিকারিক পান্নালাল সেন, বিশালগড় থানার ওসি রানা চট্টোপাধ্যায় সহ বিশাল পুলিস টিএসআর এবং সিআরপিএফের বাহিনী। রাস্তা অবরোধের পাশাপাশি বিশালগড় থানার একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ হলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠে। লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিস। পাল্টা তাদের উপর পাথর ছোঁড়ে বিক্ষুব্ধরা। সেই ঘটনায় জখম হন কয়েকজন পুলিস আধিকারিকরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বিশালগড়ের বিধায়ক সুশান্ত দেব।
তদন্তে নেমে হামলার ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। প্রসঙ্গত, চিনির গাড়ির ধাক্কায় এখনও পর্যন্ত বিশালগড়-বক্সনগর সড়কে সাতজন প্রাণ হারিয়েছেন। আহত ২১ জনেরও বেশি। তার পরেও বন্ধ হয়নি চিনি পাচার।