দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
শাটল বাসে করে সদ্য একটি পর্যটকদের দল টি-থ্রিয়ে নেমেছে। দলপতি অনন্ত কাডিয়ান বললেন, ‘বছরে একবার সকলে মিলে ঘুরতে যাই। কোনওবার এই পরিস্থিতিতে পড়িনি। টার্মিনাল-ওয়ান থেকে টিকিট ছিল। দুটো অপশন দেওয়া হয়েছিল আমাদের। টিকিট বাতিল করে পুরো রিফান্ড। আর নাহলে বেলার দিকে টি-থ্রি থেকে অন্য কোনও বিমানে চেপে গন্তব্যে পৌঁছনো। কিন্তু সরাসরি পাওয়া যাবে না। একটি স্টপ দিতে হবে। আমরা দ্বিতীয় বিকল্পই বেছেছি। কারণ এতজন একসঙ্গে অন্য ডেটে আর ম্যানেজ করা হতো না। কিন্তু অপেক্ষার যা সময় দেখছি, সকলে ভিতরে ঢুকতে ঢুকতেই না ফ্লাইট ছেড়ে দেয়।’ মেয়ে বেঙ্গালুরুতে সবে আইটি সংস্থায় চাকরি পেয়েছে। ডোমেস্টিক ফ্লাইট বলে তুলনায় ধীরেসুস্থেই এসেছিলেন গোল মার্কেটের বাসিন্দা অঙ্কিত চতুর্বেদী। প্রতিবার মেয়েকে ছাড়তে এসে চোখের জল বাধ মানে না তাঁর। এবার টেনশনে তার ব্যতিক্রম হয়েছে। টেনশন, কারণ গেটে লম্বা লাইন। অথচ ফ্লাইটের সময় এগিয়ে আসছে দ্রুত।
বিমানবন্দরের কর্মীরা অবশ্য আপডেট করে দিচ্ছেন, কোন গেটে তুলনায় কমেছে ভিড়। অনেকে তা শুনেই সেদিকে দৌড়চ্ছেন। বিমানবন্দরে দুর্ঘটনার পরই ঘটনাস্থলে গিয়েছেন অসামরিক বিমান পরিবহণমন্ত্রী কে আর নাইডু। আহতদের দেখতে হাসপাতালেও। এমনকী ঘোষণা করেছেন ক্ষতিপূরণও। তবুও বৃষ্টিতে একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ছাদের অংশবিশেষ কীভাবে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল, ঘনঘন সেই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। বিকেলে দেখা যায়, টার্মিনাল-ওয়ানের অকুস্থলে পৌঁছেছে টেকনিক্যাল টিম। চলছে পরীক্ষানিরীক্ষা। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ঘটনার জেরে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে। এদিকে দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে বিশেষ সতর্কতা জারি করল অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। তাতে সমস্ত বিমানসংস্থাকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে দিল্লিগামী বা দিল্লি থেকে অন্যত্র বিমানে কোনও অস্বাভাবিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে। এবং সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।