আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
১৯৭৭ থেকে ২০১৪। ৩৭ বছরে টানা আটবার তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষিত হাজিপুর আসন নিজের দখলে রেখেছিলেন রামবিলাস। ২০১৯ সালে ভাই পশুপতির হাতে লড়াইয়ের ব্যাটন তুলে দেন তিনি। সেবার শিবচন্দ্র রামকে ২ লক্ষ ৫ হাজার ৪৪৯ ভোটে হারিয়ে দাদার দুর্গ ধরে রেখেছিলেন পশুপতি। ২০২০ সালে রামবিলাসের মৃত্যুর পরই পাসোয়ান পরিবারে ভাঙন ধরে। এলজেপি নেতার রাজনৈতিক উত্তরাধিকার নিয়ে কাকা পশুপতির সঙ্গে বিরোধ শুরু হয় চিরাগের। পরের বছরই দু’ভাগ হয়ে যায় এলজেপি। পশুপতির দল হয় রাষ্ট্রীয় লোক জনশক্তি পার্টি আর চিরাগের লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)। দুই দলের প্রতীক আলাদা। দলের ভাঙনের পর থেকে পশুপতি কেন্দ্রের মন্ত্রী থাকলেও ভোটের আগে চিরাগকেই বেছে নিয়েছে বিজেপি। এনডিএ-র সঙ্গে আসনরফা অনুযায়ী, বিহারে পাঁচটি আসন পেয়েছে চিরাগের দল। আর তারপরই জামুই ছেড়ে বাবার আসনে প্রার্থী হয়েছেন চিরাগ। অন্যদিকে, পদ্মশিবির থেকে ধাক্কা খেয়ে পশুপতি ভোটের প্রচার থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, পারিবারিক এই টানাপোড়েন চিরাগের পথে কাঁটা হয়ে উঠতে পারে। সেইসঙ্গে এই কেন্দ্রে ভোটারদের একাংশের গলায় শোনা যাচ্ছে ‘বদলাও’ বা পরিবর্তনের সুর। ভোটারদের এই অসন্তোষকে কাজে লাগিয়েই প্রচারে ঝড় তুলছেন আরজেডি প্রার্থী। রবিদাস সম্প্রদায়ের এই নেতা লালু ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। যাদব ও মুসলিমদের পাশাপাশি নিষাদ, চৌরাশিয়া, কুশওয়াহা ও ভূমিহারদের একটা বড় অংশের ভোট টেনে হাজিপুরের হিসেব বদলে দেওয়ার অঙ্ক কষছে আরজেডি। অন্যদিকে, বাবার সুনাম ও নিজস্ব সমর্থক গোষ্ঠীর পাশাপাশি মোদি ম্যাজিকের উপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে চিরাগকে।