অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশজুড়ে অক্সিজেনের অভাব দেখা দিয়েছে। ঘরে-বাইরে অক্সিজেনের অভাব নিয়ে অভিযোগ এলেই মোদি সরকার তার জবাব দিচ্ছে। বিদেশি সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের অক্সিজেন সঙ্কট নিয়ে অব্যবস্থার খবর উঠে এলেই বিদেশ মন্ত্রক তাতে তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। কিন্তু, শনিবার দুই দূতাবাসের জরুরি বার্তার পরে কংগ্রেসের যুব শাখা অক্সিজেন পৌঁছে দিতেই মোদি সরকারের মুখ পড়েছে। সরকারের ভূমিকা ও সংবেদনশীলতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কংগ্রেস।
বিদেশমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে রবিবার ট্যুইটারে জয়রাম রমেশ লিখেছেন, ‘বিদেশি দূতাবাসের জরুরি বার্তায় যেভাবে বিরোধী দলের যুবশাখা সাড়া দিয়েছে, তাতে আমি বিস্মিত।’ পরক্ষণেই জবাব দিয়েছেন জয়শঙ্কর। তিনি লিখেছেন, ‘জয়রামজি, বিদেশ মন্ত্রক কখনও ঘুমোয় না। বিশ্বজুড়ে কী চলছে, তা আমাদের আধিকারিকরা জানেন। আবার বিদেশ মন্ত্রক কখনও মিথ্যে বলে না। আমরা জানি, কে কী করে।’ পরে আর একটি ট্যুইটে মন্ত্রক বলেছে, ‘ফিলিপিন্স দূতাবাসের সঙ্গে বিদেশ মন্ত্রক কথা বলেছে। যেহেতু সেখানে কেউ করোনা আক্রান্ত হয়নি, তাই অক্সিজেন সরবরাহের বিষয়টি ছিল অযাচিত। সস্তা রাজনীতির জন্য আপনারা একাজ করেছেন। মানুষ যখন অক্সিজেনের অভাবে ভুগছে, তখন এভাবে অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।’
বিতর্ক এখানেই শেষ হয়নি। এরপরেই ফিলিপিন্স দূতাবাসের সঙ্গে হওয়া কথপোকথনটি পোস্ট করেন কংগ্রেসের যুবশাখা। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘ফিলিপিন্স দূতাবাসের দু’জন করোনা রোগীর জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার চেয়ে আমাদের কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। সেইমতো অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সিলিন্ডার পাওয়ার পর ফেসবুকে দূতাবাসের তরফে ধন্যবাদও জানানো হয়েছে। ধন্যবাদ জ্ঞাপনের সেই বার্তার স্ক্রিনশটটিও পোস্ট করা হয়েছে। স্ক্রিনশটে থাকা নাম ও নম্বর মুছে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু, অক্সিজেনের অভাবের মতো বিষয়টি সরকার কী করে জানতে পারল না? কী করেই বা তা জেনে যুব কংগ্রেস সাহায্য করল? এই ঘটনায় মোদি সরকারের মুখ পড়তেই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘হাই কমিশনার এবং দূতাবাসগুলির সঙ্গে প্রোটোকল অ্যান্ড হেডস অব ডিভিশনের প্রধান সবসময় যোগাযোগ রেখে চলছেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিশেষ করে করোনা সম্পর্কিত যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা বিদেশ মন্ত্রক খতিয়ে দেখছে। এমনকী, হাসপাতালে চিকিৎসার বিষয়টিও।’ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘এই মহামারী পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সহ যাবতীয় অত্যাবশ্যক পণ্য মজুত না করার আর্জি জানানো হয়েছে।’ এই পরিস্থিতিতে যুব কংগ্রেসের কাছে অক্সিজেনের আর্জি জানিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে নিউজিল্যান্ড হাই কমিশনও। যার জেরে তারা সেই ট্যুইট মুছে দিয়েছে।