ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানান, গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে’র (জিএটিএস) সমীক্ষায় উঠে এসেছে, গতবারের তুলনায় তামাকজাত পণ্য সেবন শুরুর গড় বয়স কমে ১৭.৯ বছর হয়েছে। গতবার এই গড় বয়স ছিল ১৮.৯ বছর। তাঁর কথায়, ‘বেশিরভাগই বয়ঃসন্ধির সময় বা স্কুল-কলেজের শেষদিকে ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়েন। এই ১৮ থেকে ২১ বছর বয়সকেই তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি নিশানা করে। কারণ, এই বয়সে অনেকেই কখনও পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে আবার কখনও নিছক ফ্যাশনের জন্য এই নেশার প্রতি আকৃষ্ট হন।’ তাঁর সংযোজন, ‘তামাকজাত পণ্য সেবনের আইনত ছাড়পত্র মেলার বয়স বাড়িয়ে ২১ করা হলে যুবসমাজের এর প্রতি আসক্তির হার প্রতি বছর ব্যাপক হারে কমবে। এমনকী অভিভাবকরাও তাঁদের ২১ বছরের কম বয়সি সন্তানদের এইধরনের পণ্য কিনতে দোকানে পাঠাতে পারবেন না।’
এর পাশাপাশি, তামাকজাত পণ্যের চোরাচালান রুখতে বিশেষ ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছে ওই সাব-গ্রুপ। ওই আধিকারিকের কথায়, ‘এই প্রযুক্তির মাধ্যমে তামাকজাতপণ্য উৎপাদনের সময়ই প্যাকেটের গায়ে একটি বারকোড লাগিয়ে দেওয়া হবে। যাতে সেগুলিকে সহজেই চিহ্নিত করা যায়। এতে ওই পণ্যের বেআইনি পাচার যেমন রোখা যাবে, তেমনই এর জন্য সরকারকে যথাযথ কর দেওয়া হয়েছে কি না, তাও জানা যাবে।’
এখানেই শেষ নয়। নিষিদ্ধ স্থানে ধূমপান করলে জরিমানার অঙ্ক ২০০ টাকা থেকে বাড়ানোরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। প্রকাশ্য স্থানে ধূমপান করলে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে এবং ১৮ বছরের কমবয়সিদের তামাকজাত পণ্য বিক্রি করলে শাস্তির বিধান রয়েছে কোটপা আইনে। ২০০৩ সালে স্বাস্থ্যমন্ত্রক তামাকজাত পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক সংশোধনীর প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই সংশোধনীগুলি বিল আকারে জনসমক্ষে আনা হয় ২০১৫ সালে। যদিও, ২০১৭ সালে সেই সংশোধনীগুলি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। বর্তমানে ফের সেই আইনকে কঠোর করার উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রক।