ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
এদিন ছিল ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ রবিবার। সেই উপলক্ষে অল ইন্ডিয়া রেডিওতে ‘মন কি বাত’-এর আসরে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি কেরলের ১০৫ বছর বয়সি মহিলার ‘লেভেল ৪’ পাশ, মহারাষ্ট্রের ১২ বছরের তরুণীর মাউন্ট অ্যাকনকাগুয়া শৃঙ্গ জয় এবং উত্তরপ্রদেশের শারীরিকভাবে অক্ষম এক তরুণের জুতোর কারখানা খোলার কাহিনী শোনান। কেরলের ভগীরথী আম্মা প্রসঙ্গে মোদি বলেন, ‘জীবনে অগ্রগতির জন্য আমাদের নিজেদের উন্নতি প্রয়োজন। আর জীবনে যদি কিছু পেতে চাই, তাহলে তার প্রথম শর্ত হল, আমাদের মধ্যে থাকা ছাত্রাবস্থাকে জীবিত রাখা।’
এরপরেই প্রধানমন্ত্রী ১২ বছরের কিশোরী কাম্যা কার্তিকেয়নের দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট অ্যাকনকাগুয়া জয় এবং উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদের বাসিন্দা তথা শারীরিকভাবে অক্ষম সলমনের জুতোর কারখানা খোলার ঘটনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। শুধু তাই নয়, জুতো ও ডিটারজেন্ট তৈরির জন্য বিশেষভাবে সক্ষম ৩০ ব্যক্তিকে প্রশিক্ষণও দিয়েছেন সলমন।
এছাড়া রেডিওর অনুষ্ঠান থেকে ভারতের জীববৈচিত্র্য রক্ষারও বার্তা দিয়েছেন মোদি। এ প্রসঙ্গে তামিল কবি আব্বাইয়ারের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ভারতকে ‘অতুল্য সম্পদে’র আধার বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি যত জানবেন, ততই বুঝতে পারবেন, আপনি কতটা জানাবেন না। আমাদের সেই জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করতে হবে, সংরক্ষণ করতে হবে এবং নতুন করে তার উন্মেষ ঘটাতে হবে।’ এরপরেই মোদি সম্প্রতি মেঘালয়ে খোঁজ মেলা নতুন প্রজাতির মাছের কথা উল্লেখ করেন।
তবে শুধু জীববৈচিত্র্য নয়, খনিজ তেল আমদানি কমাতে জ্বালানিতে বায়ো-ফুয়েল মেশানোর বায়ুসেনার উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, লে’র কুশক বাকুলা রিমপোচে বিমানবন্দর থেকে জৈব জ্বালানি চালিত বায়ুসেনার এএন-৩২ এয়ারক্র্যাফ্ট ইতিহাস গড়েছে। বিমানটির জ্বালানির সঙ্গে ১০ শতাংশ ভারতীয় বায়ো-জেট ফুয়েল যোগ করা হয়েছিল।’