ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
আমেদাবাদ, ২৪ ফেব্রুয়ারি (পিটিআই): সোমবার দু’দিনের ভারত সফরে এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে একা নয়, সপরিবারে। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী মেলানিয়া, মেয়ে ইভাঙ্কা এবং জামাতা জ্যারেড। দুপুর ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ আমেদাবাদ বিমানবন্দরে নামে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এয়ারফোর্স ওয়ান বিমান। বিমানবন্দরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং মার্কিন ফার্স্ট লেডিকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানবন্দর থেকে তাঁরা সোজা চলে যান গান্ধিজির স্মৃতি বিজড়িত সবরমতী আশ্রমে। তাঁদের আশ্রম ঘুরিয়ে দেখান প্রধানমন্ত্রী মোদি। সমস্ত ঐতিহাসিক বিষয় সম্পর্কে খুঁটিনাটি অবগত হন তাঁরা। আশ্রমে থাকা মহাত্মা গান্ধীর ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান ট্রাম্প। এরপর গান্ধিজির স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত চরকাটি পরিদর্শন করেন তাঁরা। শুধু তাই নয়, চরকাটি চালিয়েও দেখেন ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি। তাঁদের সাহায্য করেন আশ্রমেরই এক আধিকারিক। এরপর আশ্রম থেকে বের হওয়ার সময় রীতি অনুযায়ী নিজের ঘোরার অভিজ্ঞতা একটি খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হয়। সেই খাতায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট লেখেন, ‘আমার প্রিয় বন্ধু মোদিকে এই অসাধারণ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’ অভিজ্ঞতা লেখার পাশাপাশি তার নীচে স্বাক্ষরও করেন ট্রাম্প এবং মেলানিয়া। এরপর সেখান থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কনভয় সোজা চলে যায় মোতেরা স্টেডিয়ামের দিকে। সেখানে আয়োজন করা হয়েছিল ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানের। স্টেডিয়ামে উপস্থিত সোয়া এক লক্ষ দর্শক উঠে দাঁড়িয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে নমস্তে বলে সম্বোধন করেন। এরপর মঞ্চে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্রাম্প এবং তাঁর পরিবারকে ভারতে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রে ট্রাম্পকে স্বাগত। ভারত-মার্কিন সম্পর্ক এখন আগের থেকে অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ। মোদির বক্তব্য শেষ হওয়ার পরই মঞ্চে ওঠেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। নমস্তে বলে বক্তব্য শুরু করেন ট্রাম্প। বলেন, আমেরিকা ভারতের বন্ধু। ভারতের উষ্ণ অভ্যর্থনা এবং আতিথেয়তায় আপ্লুত ট্রাম্প বলেন, আমার বন্ধু নরেন্দ্র মোদি এবং এই স্টেডিয়ামে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানাই। এককদম এগিয়ে খোলা মনে মোদির সুখ্যতি করেন। বলেন, একজন চা-ওয়ালা হয়ে দেশ চালাচ্ছেন মোদি। এটা সত্যিই অভূতপূর্ব ব্যাপার। সকলেই মোদিকে ভালোবাসেন। দেশের উন্নতিসাধন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, মোদির আমলে ভারতের আয় বেড়েছে। পাশাপাশি এই আমলেই দেশের সকল গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছেছে বলেও দাবি করেন তিনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট এদিন দাবি করেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে ভারতের দারিদ্র্য দূর হবে। উঠে আসে ভারতের সার্বভৌমত্ব বিষয়ও। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের একতা বিশ্বের কাছে অনুপ্রেরণা। মানুষের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দেয় ভারত। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে পাকিস্তান এবং সন্ত্রাসবাদ ইস্যুও। ট্রাম্প বলেন, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ও পাকিস্তানের সীমান্তের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সন্ত্রাসে মদত দিলে বড় মূল্য চোকাতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। বক্তব্যের একেবারে শেষের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আগামীকাল ভারতের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি হবে। ভারতকে অ্যাডভান্সড এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেবে আমেরিকা। সরবরাহ করা হবে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র। দেওয়া হবে সাঁজোয়া হেলিকপ্টারও। যা ভারতের সুরক্ষা বাহিনীর জন্য দুর্দান্ত হবে। এরপর তাজমহল পরিদর্শনের জন্য বিমানে চেপে সস্ত্রীক পাড়ি দেন আগ্রার উদ্দেশে।
