কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গি অনুপ্রবেশ করিয়ে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার চক্রান্তের সঙ্গেই জাল নোট ছাপিয়ে ভারতের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চেষ্টাও দীর্ঘদিন ধরে চালাচ্ছে ইসলামাবাদ। এই গোটা প্রক্রিয়াটিকে পাক গুপ্তচর সংস্থা ‘অপারেশন টোপাজ’ নাম দিয়েছে। টোপাজ ব্লেডের নামে এটার নামকরণ। ব্লেড দিয়ে ভারতকে ক্ষতবিক্ষত করার সেই চক্রান্তে আইএসআই-এর সঙ্গী দাউদ ইব্রাহিম কাসকারের হাতে এখন পৌঁছে গিয়েছে নোট ছাপানোর অন্যতম দুই উপকরণ ওভিআই এবং সিডব্লুবিএন। যা দিয়ে করাচি ছাড়া অন্যত্রও ছাপা হচ্ছে জাল ২০০০-এর নোট।
ডি-কোম্পানির কাছে এই দুই উপকরণ যে পৌঁছেছে, তা জানা গেল কী করে? গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দোহা থেকে আসা তিন পাকিস্তানি নাগরিককে গ্রেপ্তার করে উদ্ধার করা হয় ৭.৬৭ কোটি টাকার ভারতীয় জাল নোট। যার সবই ছিল ২০০০ টাকার। ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছ থেকে জাল নোটের ওই কনসাইনমেন্ট সম্পর্কে ‘টিপস’ পেয়েছিল নেপাল পুলিস। ধৃত তিন পাকিস্তানির মধ্যে ছিল দাউদের অন্যতম শাগরেদ ইউসুফ মিয়াঁ আনসারি। আটক হওয়া নোট পরীক্ষা করে জানা যায়, এই প্রথম ওভিআই এবং সিডব্লুবিএন উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। গোয়েন্দারা বলছেন, নেপালে ফিরোজ লোরি, মহম্মদ নূরুল, বসিরউদ্দিন সহ কয়েকজন স্থানীয় এজেন্টের সাহায্যে কাঠমাণ্ডুর সঙ্গেই বীরগঞ্জ ও রক্সৌলে জাল নোটের স্ট্যাক ইয়ার্ড তৈরি করেছে দাউদ। একইভাবে বাংলাদেশের শিবগঞ্জে নূর মহম্মদ, জামালউদ্দিন এবং সানাউল্লাহ নামে দাউদের তিন এজেন্টের দায়িত্ব বর্তেছে জাল নোটের মজুত ভাণ্ডার গড়ার। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে দাউদের আরেক পাকিস্তানি এজেন্ট সলমন শেরার পাঠানো ৪৯.৫০ লক্ষ টাকার জাল নোটের আরেকটি কনসাইনমেন্ট ধরা পড়ে ঢাকায়। তাতেও ওভিআই এবং সিডব্লুবিএন উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছিল। সম্প্রতি দিল্লির নেহরু প্লেসে স্পেশাল সেল পাকড়াও করেছিল দাউদ ঘনিষ্ঠ আসলাম আনসারিকে। উদ্ধার হয় একই ধরনের সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকার জাল নোট। এমনকী চলতি বছরের গত ১৫ জানুয়ারি নাগপুর থেকে লালু খান নামে দাউদের যে এজেন্টকে ১৮.৭৫ লক্ষ টাকার জাল নোট সমেত গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তাতেও ব্যবহৃত হয়েছে ওভিআই এবং সিডব্লুবিএন। এহেন সব গ্রেপ্তারের মাঝেই জাল নোট পাঠানোর যে মরিয়া চেষ্টা দাউদ বাহিনী চালাচ্ছে, তা ঠেকাতে তৎপরতা বাড়াচ্ছেন গোয়েন্দারাও।