কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
প্রশ্ন উঠছে, এভাবে একের পর রাজ্য বিধানসভায় যদি সেই রাজ্য সরকার একটি কেন্দ্রীয় আইন চালু না করার পক্ষে প্রস্তাব নেয় এবং এনপিআর প্রক্রিয়া কার্যকর করার ক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করে, তা হলে, কেন্দ্রীয় সরকার কি আদৌ সেই প্রক্রিয়া তথা আইন বলবৎ করতে পারবে? এই তর্কের পক্ষে-বিপক্ষে ভিন্নমতের সঞ্চার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার স্পষ্টই জানাচ্ছে, কেন্দ্রীয় আইন ও সিদ্ধান্ত প্রয়োগে একটি রাজ্য সরকার প্রতিবন্ধকতা আরোপ করতে পারে না। রাজ্যের সেই এক্তিয়ারই নেই। পক্ষান্তরে, বিরুদ্ধপক্ষীয় রাজ্য সরকার তথা বিরোধী দলগুলির যুক্তি হল, কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোনও আইনি অথবা প্রশাসনিক পদ্ধতি আদতে রূপায়িত করা হয় রাজ্যেরই পরিকাঠামোর মাধ্যমে। সুতরাং, রাজ্য সরকার যদি বিমুখ হয়, তা হলে কেন্দ্র সেই প্রশাসনিক কাঠামো পাবে কীভাবে? উদাহরণ হিসাবে বলা হচ্ছে, পাসপোর্ট প্রদান করে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু আবেদন থেকে তথ্য পরীক্ষা, পুলিশি পরিদর্শন, সবটাই তো জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে হয়! জেলা প্রশাসন রাজ্য সরকারের আওতায়। সুতরাং তারা যদি সহযোগিতা না করে, তা হলে কেন্দ্রীয় প্রক্রিয়া কার্যকরী হওয়া কতটা সম্ভব?
আর কয়েকদিন পরই শুরু হবে সংসদের বাজেট অধিবেশন। এই অধিবেশনের দ্বিতীয় দিন (১ ফেব্রুয়ারি) বাজেট পেশ হবে। কিন্তু বাকি সময়সীমায় এই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং এনপিআর নিয়েই বিরোধী বনাম সরকারপক্ষের বাদানুবাদে ঝড় উঠবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপির কাছে এই ইস্যুতে অন্যতম অস্বস্তি হল, একের পর এক জোটশরিকও বিরোধীদের সুরেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি এবং এনপিআর নিয়ে আপত্তি তুলেছে। সর্বশেষ ধাক্কা দিয়েছে শিরোমণি অকালি দল। দিল্লি বিধানসভার ভোটে অকালি দল লড়াই করছে না এই ইস্যুটির প্রতিবাদে। সুতরাং সংসদে বিরোধীদের আক্রমণের সময় জোটশরিকরা যে পাশে থাকবে না, অন্তত এই ইস্যুতে, তা স্পষ্ট। যদি এই প্রবণতা প্রতিফলিত হয়, তা হলে ২০১৪ সালের পর এই প্রথম দেখা যাবে, বিজেপি একক গরিষ্ঠতায় বিপুল শক্তিশালী, অথচ সংসদে একা!