কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সকাল ছ’টায় নির্ভয়া গণধর্ষণ ও খুন মামলায় চার দোষীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু, মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার দিন পিছিয়ে দিতে নানা ফন্দি-ফিকির আঁটছে অপরাধীরা। তা তাদের মনোভাব এবং আচরণ থেকেই কার্যত পরিষ্কার। এদিকে, অন্যতম অভিযুক্ত পবন গুপ্তা এবং বিনয় শর্মা এখনও সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করেনি। ফাঁসি পিছিয়ে দিতে এটিকেও তারা আইনি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
এদিকে, তিহার জেল কর্তৃপক্ষ প্রাণভিক্ষা ও কিউরেটিভ পিটিশনের কাগজপত্র দিচ্ছে না বলে দিল্লির দায়রা আদালতের হলফনামা দাখিল করেছিলেন অভিযুক্তের আইনজীবী। সেই হলফনামা খারিজ করে দিয়েছেন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অজয়কুমার জৈন। তিনি বলেন, দোষীদের হাতে কাগজপত্র তুলে দেওয়ার জন্য জেল কর্তৃপক্ষকে আর কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না। প্রয়োজন পড়লে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রের ছবি তুলে নিতে পারবেন দোষীর আইনজীবী।
এদিন বেশ কিছু নথিপত্র, অভিযুক্ত বিনয়কুমার শর্মার আঁকা ১০টি ছবি ও স্কেচ, ‘দারিন্দা’ নামে তার একটি ১৯ পাতার নোটবুক আদালতে নিয়ে আসে জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানান, আদালত নির্দেশ দিলে এগুলি অপরাধীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এরপর অতিরিক্ত দায়রা বিচারক স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নথিপত্র সরবরাহ করার জন্য কোনও নির্দেশ দেওয়া হবে না। যদিও ছবি ও নোটবুক অপরাধীর আইনজীবীর হাতে তুলে দিতে বলে আদালত। সরকারি আইনজীবী জানান, এই ধরনের হলফনামা জমা দিয়ে দোষীরা শুধু ফাঁসির দিন পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আইন মোতাবেক সমস্ত কাজ হয়েছে। সমস্ত কাগজপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি বলেন, ১৭০ পাতার যে ডায়েরির কথা অভিযুক্তদের আইনজীবী বলছেন, তার কোনও অস্তিত্ব নেই । সেই সঙ্গে, বিনয়কে ধীরে ধীরে মেরে ফেলার চেষ্টা, জেলে পবনের মাথা ফাটা নিয়ে তাদের আইনজীবীরা যে সমস্ত অভিযোগ করেছিলেন, তাও খারিজ করে দিয়েছে জেল কর্তৃপক্ষ।