কর্মে সাফল্য ও সুনাম বৃদ্ধি। ব্যবসায় অগ্রগতি ও প্রসার। অর্থাগম যোগ শুভ। স্বাস্থ্য বিশেষ ভালো ... বিশদ
অতিবৃষ্টি জনিত কারণে গত বছর সবথেকে বেশি ৩৪০ জন মানুষ মারা গিয়েছেন মহারাষ্ট্রে। উত্তরাখণ্ডে ১৪৩, হিমাচল প্রদেশে ৫৫, কেরলে ৪৩ ও অন্ধ্র্রপ্রদেশে ৪৬ জন মারা গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গে অতিবৃষ্টির কারণে মৃতের সংখ্যা কতজন, তা এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। তবে রিপোর্টের সঙ্গে দেওয়া গ্রাফে তা ১০-এর আশপাশে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বজ্রাঘাতজনিত কারণে গত বছর পশ্চিমবঙ্গে মোট ৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। বজ্রাঘাতের মৃত্যু পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক বেশি হয়েছে অন্য কয়েকটি রাজ্যে। ওড়িশায় সবথেকে বেশি ২১৩ জন মারা গিয়েছেন বজ্রাঘাতে। মধ্যপ্রদেশে ১৫৬, বিহারে ৮৯, মহারাষ্ট্রে ৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঝাড়খণ্ড (৫৪), উত্তরপ্রদেশ (৪৯), রাজস্থানেও (৪৮) বজ্রাঘাতে মৃত্যু বেশি হয়েছে।
দেশে বাজ পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর জন্য আবহাওয়া দপ্তর সহ বিভিন্ন সরকারি এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বেশ কিছুদিন সক্রিয় হয়েছে। সাধারণ মানুষকে বজ্রাঘাত থেকে বাঁচার ব্যাপারে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সচেতন করার চেষ্টা হচ্ছে। পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে এই কাজে ব্যবহার করার চেষ্টাও হচ্ছে। বজ্রাঘাতের ব্যাপারে কিছু সময় আগে সতর্ক করার জন্য আবহাওয়া দপ্তর দামিনী নামে একটি বিশেষ অ্যাপ চালু করেছে। ওই অ্যাপ ৪০ মিনিট আগে কোন কোন জায়গায় বাজ পড়তে পারে, তার ইঙ্গিত দেয়।
সরকারি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, এই সব ব্যবস্থা গ্রহণের ফলে বজ্রাঘাতে মৃত্যু কিছুটা কমেছে। ২০২০-২১ আর্থিক বছরে বজ্রাঘাতে দেশে ১৯৬৭ জন মারা গিয়েছিলেন। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে একটি বিশেষ অভিযান এই উদ্দেশ্যে শুরু করা হয়। তিন বছরের মধ্যে বজ্রাঘাতে মৃত্যু ৮০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ মৃত্যু কমানো সম্ভব হয়েছে বলে বিভিন্ন সরকারি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। বজ্রপাত বেশি হয়, এমন এলাকাগুলি চিহ্নিত করে সেখানকার মানুষদের সচেতন করা হচ্ছে। পাশাপাশি দেখা যাচ্ছে বজ্রপাতের সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে বেড়ে চলেছে। এক বছরের মধ্যে ৩৪ শতাংশ বজ্রপাতের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাঞ্জাব, বিহার, হরিয়ানা, পণ্ডিচেরি, হিমাচল প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে এব্যাপারে এগিয়ে আছে। এই রাজ্যগুলিতে একশো শতাংশ বা তার বেশি বজ্রপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড-ওড়িশায় ছোটনাগপুর মালভূমি এলাকা বজ্রপাত প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত। প্রাক বর্ষা মরশুমে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বেশি বজ্রপাত হয়। এপ্রিল- মে-জুন মাসে তাই বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি হয়।