সম্পত্তি সংস্কার বিষয়ে চিন্তাভাবনা ফলপ্রসূ হতে পারে। কর্মক্ষেত্রে প্রভাব-প্রতিপত্তি বৃদ্ধি। যাবতীয় আটকে থাকা কাজের ক্ষেত্রে ... বিশদ
ইশা মহম্মদ, যোগেন চৌধুরী, শুভাপ্রসন্নর মতো প্রবীণদের সঙ্গে ভবতোষ সুতার, দেবাশিস চক্রবর্তী, অনিরুদ্ধ মুখোপাধ্যায়, অভিজিত মিত্রের মতো তরুণ প্রজন্মের মোট ৪২ জন পেশাদার চিত্রশিল্পীর সঙ্গে ছবি আঁকলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেই জানালেন, ছবি আঁকার কোনও প্রথাগত প্রশিক্ষণ তাঁর নেই। শুভাপ্রসন্ন বললেন, মুখ্যমন্ত্রী কবিতা, প্রবন্ধ, গান, কোনও কিছুতেই পিছপা হন না। ছবি আঁকতেও ভালোবাসেন। সিএএ, এনআরসি নিয়ে দেশজুড়ে চলা প্রতিবাদ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মীরাও যোগ দিয়েছেন। সেইজন্যই তুলি হাতে তাঁদের পথে নামা। মমতা জানান, তাঁকে এই কর্মশালায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। তাতে সাড়া দিয়ে এদিন তিনি ছবি আঁকতে এসেছিলেন। মাত্র মিনিট পনেরো সময়ে আড়াই ফুট বাই আড়াই ফুট কালো ক্যানভাস ভরিয়ে তুললেন তিনি। তাঁর সঙ্গে পাশের ক্যানভাসে তখন শুভাপ্রসন্ন ও রাজ্যসভার সদস্য যোগেন চৌধুরী সহ অন্যরা। ইশা মহম্মদ বলেন, দেশে যে অনাচার হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে শিল্পীদের আবেগ ধরা পড়েছে এদিনের ছবিগুলিতে। যোগেনবাবুর দাবি, বিশ্বের দরবারে মুখ দেখাবার জায়গা নেই। অবিলম্বে সিএএ প্রত্যাহার করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
ছবির ভাষার নীরব প্রতিবাদ অনেক তীব্র বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের কর্মশালার এই ছবিগুলি দিল্লি সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনী করার ব্যাপারে আগ্রহী মমতা। তিনি জানান, বাংলায় ইতিমধ্যেই সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন। এবার শিল্পীদের এই প্রতিবাদের বার্তা অন্যত্র ছড়িয়ে দেওয়া হোক। এক প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, বিরোধীরা কিছু বললেই তাদের গায়ে দেশবিরোধীর তকমা এঁটে দেওয়া হয়। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর মুখে সর্বদা পাকিস্তানের নাম। মোদির উদ্দেশে মমতার কটাক্ষ, উনি কি পাকিস্তানের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর? আমরা ভারতীয় হিন্দু হিসেবে গর্বিত। আমরা ভারতের অ্যাম্বাসাডর। আমরা চাই, আগে সিএএ প্রত্যাহার করুক কেন্দ্র। একতরফাভাবে কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়া কিংবা সিএএ আইন পাশ করা হলো স্রেফ সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে। সরকার চাইলে আলোচনা হতে পারে। কিন্তু আইন প্রত্যাহার করার পরেই তা সম্ভব বলে জানান মমতা। তাঁর মতে, আগে সরকারের উচিত দেশের মানুষকে আশ্বস্ত করা। সিএএ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেই ব্যাপারে মমতা বলেন, আদালতে যা চলছে চলুক। আমরা রাস্তায় নেমে মানুষের কথা বলছি।
এদিন বিধাননগরের সেন্ট্রাল পার্কে কলকাতা বইমেলায় ‘নো এনআরসি, নো এনপিআর, নো সিএএ’ নামে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা একটি ইংরেজি বই প্রকাশিত হয়। তিনি বলেন, আমাদের দেশ নানা ভাষা, নানা মতের দেশ। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ভারতের নাগরিক। উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই আমরা সবাই নাগরিক এই স্লোগান নিয়ে রাস্তায় নেমে সিএএ-র প্রতিবাদ শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।