বিদ্যার্থীদের বেশি শ্রম দিয়ে পঠন-পাঠন করা দরকার। কোনও সংস্থায় যুক্ত হলে বিদ্যায় বিস্তৃতি ঘটবে। কর্মপ্রার্থীরা ... বিশদ
এনআরসি, সিএএ ইস্যুতে অনেকদিন ধরেই রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন মমতা। ইতিমধ্যে তিনি ছ’টি পদযাত্রা করেছেন। আন্দোলন শুরু ইস্তক মমতা ঘুরছেন নো এনআরসি, নো সিএএ ব্যাজ লাগিয়ে। এদিন বিকেলে শাড়িতে সেই ব্যাজ লাগিয়েই সাড়ে চারটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সিএএ-এনআরসি নিয়ে ক্ষোভ জানিয়ে আসেন গেরুয়া শিবিরের পোস্টার বয়ের কাছে।
মিনিট কুড়ি বৈঠকের পরে রাজভবন থেকে বেরিয়ে মমতা সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এলে আমরা দেখা করি। এটা সৌজন্য। আমি রাজভবনে দেখা করেছি। মিনিস্টার অব ওয়েটিং ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে বিমানবন্দরে পাঠিয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে। আমি দু’টি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি: প্রথমটি, কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের পাওনা ২৮ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বুলবুলের জন্য পাওনা রয়েছে। সব মিলিয়ে ৩৮ হাজার কোটি টাকা বকেয়া। তা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছি। আমাদের ৫৪ হাজার কোটি টাকা করে দেনা শোধ করতে চলে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী চিঠিপত্র খতিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এছাড়া আমি বলেছি আপনি আমাদের অতিথি। বলা উচিত কি না জানি না, তবু বলছি, আমরা এনপিআর, এনআরসি, সিএএ— এই তিনটে’রই বিরুদ্ধে। আমরা চাইনা মানুষের মধ্যে কোনও বৈষম্য। দেশের কাউকে তাড়ানো হোক, তা চাই না। কারও উপরে যেন অত্যাচার না হয়। আমরা চাই, সিএএ, এনআরসি নিয়ে আপনারা ভাবনাচিন্তা করুন। তা প্রত্যাহার করা হোক। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দিল্লিতে গিয়ে কথা বলে নেব।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর মমতা হাজির হন রানি রাসমণি অ্যাভিনিউতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধর্নামঞ্চে। সিএএ-এনআরসি বিরোধিতায় মমতার লেখা গান পরিবেশন করেন ছাত্রছাত্রীরা। পরে মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে মমতা দৃপ্তভঙ্গিতে বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বলে এসেছি, আমরা নাগরিকত্ব আইন মানতে পারব না। তৃণমূল অসহায় মানুষের পাশে সবসময়ে থাকে। আমরা দিল্লিতে, কর্নাটকে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছি। আমরা চাই না, আন্দোলন হিংসাত্মক হোক। কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছেন। বাসে আগুন দিচ্ছেন। একটু রাস্তায় হাঁটুন। অনেক মেদ জমে গিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে কটাক্ষের সুরে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, স্বামীজির জন্মদিনে কেউ কেউ দিল্লি থেকে ছুটে আসেন। কিন্তু আমরা সারা বছর ওনাকে সম্মান জানাই। স্বামী বিবেকানন্দ এক জন হিন্দু ছিলেন। মানবতাবাদী হিন্দু ছিলেন। একটি ধর্ম থাকলে তবেই আর একটি ধর্ম থাকবে। আমরা কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি মানি না। বাংলায় এনআরসি হবে না। সিএএ মানব না। মেজরিটি আছে বলে যা ইচ্ছা তাই করবে, সেটা আমরা মানছি না। আমি আন্দোলনে গিয়ে অনেক নতুন মুখ দেখতে পাচ্ছি। মানুষের ভালোবাসা দেখতে পাচ্ছি। মানুষ আমাদের আন্দোলনকে সমর্থন করছে। আমরা আন্দোলন শুরু করেছি, আমরা আন্দোলন শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যাব। আমি ছাত্রসমাজকে ধন্যবাদ জানাব তাদের আন্দোলনের জন্য। তিনি একটি বোর্ডে নো এনআরসি, নো সিএএ লিখে তা কেটে দিয়ে প্রতিবাদের নতুন ছবি তৈরি করেন।