উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্রের। কিন্তু দিল্লি থেকে আসা রাহুল গান্ধীর এক দূতের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত থাকায় তিনি আসতে পারেননি। তবে প্রবীণ নেতা তথা সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য ও রাজ্য নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী মিডিয়ার মুখোমুখি হন। প্রদেশ সভাপতির ইস্তফার সম্ভাবনা নিয়ে গুঞ্জন ওঠায় প্রদীপবাবু বলেন, মাত্র কয়েক মাস আগেই হাইকমান্ডের নির্দেশে সোমেন মিত্র এই দায়িত্ব নিয়েছেন। এই পরাজয়ের দায় শুধু তাঁর একার হবে কেন? আপাতত তাঁর পদত্যাগের কোনও সম্ভাবনাই নেই।
প্রদীপবাবু এদিন বলেন, আমরা এই ভোটে জোট করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু নানা কারণে জোট হয়নি। আমরা তা নিয়ে নতুন করে তিক্ততা বাড়াতে চাই না। মনে করি, বিজেপি ও তৃণমূলের এই বিভাজন বা মেরুকরণের বিপজ্জনক রাজনীতির শিকার হয়ে বাংলার মানুষ যাতে আর বিভ্রান্ত না হয়, সেজন্য ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিগুলির ঐক্য অবশ্যই প্রয়োজন। পরবর্তী নির্বাচনগুলিতে সেই ভাবনা থেকেই আমরা লড়তে চাই। লোকসভা ভোটের ফল বিশ্লেষণের পাশাপাশি জোট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য শীঘ্রই প্রদেশ কংগ্রেসের কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা হচ্ছে।
দলবদলের ইস্যুতে গত কয়েক বছরে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কংগ্রেস। তাদের অন্তত দেড় ডজন বিধায়ক শাসক শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। লোকসভা ভোটের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন তৃণমূলের বিধায়ক-কাউন্সিলার সহ নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বিজেপিতে যাওয়া শুরু করেছেন। যা দেখে কিছুটা হলেও উৎফুল্ল হচ্ছে ক্ষয়িষ্ণু বিরোধীরা। এনিয়ে প্রদীপবাবু বলেন, দেশের শতাব্দী প্রাচীন ধর্মনিরপেক্ষ দল কংগ্রেসের শক্তি কমাতে গিয়ে তৃণমূল কত বড় বিপদ আজ বাংলায় ডেকে এনেছে, আশা করি সেটা তারা বুঝছে এখন। তবে আমরা এখনও কংগ্রেস ছেড়ে যাওয়া নেতা-নেত্রী বা কর্মীদের ফিরে আসার জন্য দরজা খোলা রাখছি।