আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
তিনি তারকা। কিন্তু প্রথম থেকে শেষদিন পর্যন্ত ‘দায়িত্ববান’ নেতার মতোই প্রচারের কাজ করেছেন রচনা। দাবি তাঁর দলের কর্মীদের। দু’দিন আগেই প্রচার বাতিল করায় পাণ্ডুয়ায় তাঁকে ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল। শনিবার সেখানকার নেত্রীকে নিয়েই রোড শো করলেন রচনা। তাও সাতসকালে। পরে মগরা ও চুঁচুড়ার একাধিক পঞ্চায়েতে রোড শো করেন। আর শেষে ব্যান্ডেলের কেওটাতে করেন ‘বাইক শো’। তাঁকে এদিন দীর্ঘপথ বাইকের পিছনের পাদানিতে দাঁড়িয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। সঙ্গে ছিল স্বভাবসিদ্ধ হাসি ও প্রথম দিনের মতোই জনগর্জন। রচনা বলেন, ‘ভোটের ফলাফল ভিন্ন প্রশ্ন। মানুষের হাসি মুখের বিপুল আপ্যায়ন পেয়েছি, যা আমার সারা জীবনের সম্পদ হয়ে থাকবে।’ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তথা হুগলির বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও এদিন রোড শো দিয়ে তাঁর প্রচার শেষ করেন। এদিন গুড়াপে তিনি বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে রোড শো করেন। সদ্য শুক্রবার ওই এলাকা থেকেই তাঁকে তোপ দেগেছিলেন তৃণমূলের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে সেখানেই রোড শো করে প্রচার শেষ করাটা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। লকেট বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারা ভয় পেয়েছেন। তাই আমাকে আক্রমণ করছেন।’ বামপ্রার্থী মনোদীপ ঘোষ অবশ্য সমস্ত বিধানসভায় চরকি পাক দিয়ে প্রচার শেষ করেন।
রোড শোয়ের মতো কর্মসূচি শ্রীরামপুরের বামপ্রার্থী দীপ্সিতা ধরেরও ছিল না। তবে বিধানসভাভিত্তিক প্রচারে ছিলেন তিনি। এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু এদিন একাধিক রোড শো করেছেন। উত্তরপাড়া থেকে শ্রীরামপুর পর্যন্ত একটি রোড শোতে যোগ দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি এদিন বলেন, ‘পুরনো মুখের বদলে নতুন সাংসদ চাইছে শ্রীরামপুর। তাই আমরা কবীরকে প্রার্থী করেছি।’ রোড শো করেছেন তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারেরও প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। জাঙ্গিপাড়া থেকে শ্রীরামপুর, শহর থেকে গ্রাম একাধিক রোড শো তিনি প্রচারের শেষলগ্নে করেছেন। কার্যত জনসমুদ্রকে সঙ্গে নিয়ে ভিকট্রি সাইন দেখিয়ে মানুষের শুভেচ্ছা কুড়িয়েছেন তিনি।