যানবাহন ক্রয়বিক্রয়ে অর্থলাভের যোগ আছে। চাকরিতে উন্নতি হবে। প্রিয়জন সম্পর্কে উন্নতি। ... বিশদ
চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তৃণমূলের ভোট বাক্সে বাংলার নারী সমাজের সমর্থন উজাড় করে দেবে—সেই আভাস মিলেছে শেষ চার দফার ভোটেই। এখনও বাকি তিন দফা। ইতিমধ্যেই ‘ভিক্ষা চাই না’ জাতীয় প্রচার থেকে পিছু হটছে বিজেপি। তৃণমূলের কটাক্ষ, বিজেপি আসলে টের পেয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই তাদের কফিনে শেষ পেরেক মারবে। সেই সুর ধরেই এদিন আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পুরুলিয়ার তৃণমূল প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর সমর্থনে বাঘমুণ্ডি ও মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনে দাঁতনে সভা করেন অভিষেক। দু’টি সভাতেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে হাতিয়ার করেন তিনি। অভিষেকের তোপ, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চাইলেও লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবেন না। বিজেপি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করবে বলছে। কিন্তু ক্ষমতায় এলে তো!’
অভিষেকের আক্রমণ, ‘বিজেপির ওই নেত্রী প্রকাশ্য সভায় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার পরেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। ফলে বিজেপি কীভাবে বাংলার মহিলাদের অসম্মানিত করতে চাইছে, তা স্পষ্ট। সন্দেশখালিতেও এক কাজ করেছে। এর জবাব ভোটেই দেবে মানুষ। আবাসের টাকা বন্ধ, জলের টাকা বন্ধ, রাস্তার টাকা বন্ধ। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে বাংলার বকেয়া পাওনা প্রায় ১ লক্ষ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। তারপরও ভোট চাইছে? জুমলাশ্রী, আর মিথ্যাশ্রীর দল বিজেপি। ওদের একটাও ভোট দেবেন না।’ দাঁতনের সভায় ‘পুনর্মুষিক ভব’ গল্পটি শোনান অভিষেক। বলেন, ‘২০১৪ সালে ছিল নেংটি ইঁদুর। তাকেই আপনারা বাঘ করেছেন। সেই বাঘই এখন আপনাদের খেতে এসেছে।’ মানুষের প্রতি তাঁর আবেদন, ‘ইভিএমের বোতাম এখানে টিপলে ভূমিকম্প আর আওয়াজটা যেন দিল্লিতে হয়, এটা সুনিশ্চিত করুন।’