অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
কাশীপুর-বেলগাছিয়া এবং মানিকতলা কেন্দ্রের গণনা হয়েছে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে রামানুজন ভবনের দ্বিতীয় তলে স্থান সংকুলানের অভাব দেখা যায়। করোনা দূরত্ববিধি বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। এনিয়ে আধিকারিক, নির্বাচনী এজেন্ট, এমনকী বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেও কমিশনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। এই কেন্দ্রে কাশীপুর বেলগাছিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অতীন ঘোষ প্রায় ৩৬,৬০০ ভোটে হারান বিজেপির শিবাজী সিংহ রায়কে। জয়ের ট্রিপল হ্যাটট্রিক করেছেন মানিকতলার তৃণমূল প্রার্থী মন্ত্রী সাধন পাণ্ডেও। কল্যাণ চৌবেকে তিনি সাড়ে ১৮ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছেন। আগাগোড়াই গণনা কেন্দ্রে ছিলেন তাঁর মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে।
কসবায় জাভেদ আহমেদ খানও কিছুটা প্রত্যাশিতভাবেই বিশাল ব্যবধানে জিতেছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির ইন্দ্রনীল খাঁকে ৬৩ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছেন তিনি। সিপিএমের শতরূপ ঘোষ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাঁড়াতে পারেননি। যাদবপুর কেন্দ্রটি ফের হাতছাড়া হয়েছে সিপিএমের। ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ওই কেন্দ্রে হারার পর ২০১৬ সালে সুজন চক্রবর্তী সেখানে জয়লাভ করেন। এবার তিনি তৃতীয় হয়েছেন। তৃণমূল প্রার্থী দেবব্রত মজুমদারের কাছে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির রিঙ্কু নস্কর ২৬ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরেছেন। টালিগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়কে ৪২ হাজারেরও বেশি ভোটে হারিয়েছেন। বালিগঞ্জ গভর্নমেন্ট হাইস্কুল ছিল রাসবিহারী বিধানসভা ভোট গণনা কেন্দ্র। সকালের দিকে পিছিয়ে থাকলেও একটু বেলা হতেই তৃতীয় রাউন্ড শেষে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস কুমারের এগিয়ে থাকার খবর আসতে থাকে। ২০১৯- এর লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল। এখানকার বর্তমান বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের পরিবর্তে তাঁকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। শোভনদেববাবু এবার জিতেছেন ভবানীপুর থেকে। আর লড়াই করে রাসবিহারী কেন্দ্রে ২১,৪১৪ ভোটে জয় ছিনিয়ে আনলেন দেবাশিসবাবু। ৯৬ শতাংশ হিন্দু বাংলাভাষী এবং অবাঙালি অধ্যুষিত এই বিধানসভায় তৃণমূলের এই জয় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।
বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে রত্না চট্টোপাধ্যায় ২০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়েছেন অভিনেত্রী বিজেপির প্রার্থী পায়েল সরকারকে। অন্যদিকে, বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে তৃণমূলের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রায় ৩০ হাজার ভোটে হারিয়েছেন বিজেপির প্রার্থী আরেক অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে। চৌরঙ্গি, শ্যামপুকুর, জোড়াসাঁকো, এন্টালি, বেলেঘাটা-এই পাঁচটি কেন্দ্রের গণনা হয় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। চৌরঙ্গিতে তৃণমূলের নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি প্রার্থীকে ৪৫ হাজারের বেশি ব্যবধানে হারান। জোড়াসাঁকোয় বিজেপির মীনাদেবী পুরোহিতকে ১১ হাজারের বেশি ব্যবধানে হারিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের বিবেক গুপ্তা। এন্টালিতে তৃণমূলের স্বর্ণকমল সাহার জয়ের ব্যবধান প্রায় ৫৮ হাজার। বেলেঘাটায় পরেশ পালও বিজেপি প্রার্থীকে ৬৬ হাজারের বেশি ব্যবধানে হারিয়েছেন। শ্যামপুকুরে তৃণমূলের শশী পাঁজা বিজেপির নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়েছেন ২২ হাজারের বেশি ভোটে।