অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
ওই যাত্রীকে নির্দিষ্ট একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। দেওয়া হয় পিপিই কিট। ইতিমধ্যে এয়ারপোর্ট ম্যানেজার অ্যাম্বুলেন্স ডেকে গেটের সামনে নিয়ে আসেন। ওই যাত্রী কোথা থেকে এসেছেন, কার সঙ্গে এসেছেন, কীভাবে এসেছেন তার যাবতীয় তথ্য নেওয়া হয়। খোঁজ নেওয়া হয় বিমানবন্দরের কোন লিফট বা সিঁড়ি দিয়ে তিনি প্রবেশ করেছেন। কারও সঙ্গে দেখা করেছিলেন কি না। এরপর স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা ওই যাত্রীকে অ্যাম্বুলেন্স করে নিয়ে যান রাজারহাটে। অফিসাররা জানান, ওই যাত্রী যে-পথ দিয়ে ঢুকেছেন, যে চেয়ারে বসেছেন এবং যেখান দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে উঠেছেন, পুরো এলাকাটি স্যানিটাইজেশন করা হয়। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, করোনা পজিটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে ওই যাত্রী বিমান ধরার জন্য এলেন কীভাবে? যাত্রীর সঙ্গে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কথা বলে জানতে পেরেছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি তিনি বুঝতে পারেননি। নিয়ম রয়েছে, পোর্ট ব্লেয়ারের বিমানে ওঠার আগে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে প্রত্যেক যাত্রীকে। সেইমতো আরটিপিসিআর টেস্ট করিয়েছিলেন ওই যাত্রী। কিন্তু সেই রিপোর্টে তিনি যে করোনা আক্রান্ত হয়ে রয়েছেন তা বুঝতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। কলকাতা বিমানবন্দরের কর্তব্যরত অফিসাররা জানিয়েছেন, ওই যাত্রী কলকাতা থেকে দূরের একটি গ্রাম থেকে এসেছিলেন। শ্রমিক। কাজ করেন পোর্ট ব্লেয়ারের একটি বেসরকারি সংস্থায়। সেখানেই যাচ্ছিলেন। কিন্তু আরটিপিসিআর টেস্ট সংক্রান্ত বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তার ফলেই এই সমস্যা।