অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
এ বিষয়ে বসিরহাটের স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ইতিমধ্যেই প্রায় সাড়ে তিন লক্ষের মতো প্রথম ডোজ এবং ৬০ হাজারের মতো দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনওভাবেই কুপন দিয়ে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। কুপন নেওয়ার পর ভ্যাকসিন দিতে দেরি করলে মানুষ বিরক্ত হয়ে ভাঙচুর করতে পারে। বসিরহাট মহকুমায় প্রায় ৫৪ লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন দরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মিলেছে মাত্র তিন লক্ষের কিছু বেশি। শুরুতে বসিরহাট মহকুমায় ৪৪টি শিবির করে মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভ্যাকসিন না থাকায় শিবিরের সংখ্যা কমাতে শুরু হয়েছে। বসিরহাটের পঞ্চায়েত ও পুরসভা এলাকার মতো সুন্দরবন লাগোয়া হিঙ্গলগঞ্জের স্যান্ডেলের বিল, সামসেরনগর, কালীতলা, যোগেশগঞ্জ, দুলদুলি, লেবুখালি, সাহেবখালি, কাটাখালি, রূপমারী মতো এলাকার মানুষজনকে ৯ নম্বর স্যান্ডেলের বিল ব্লক হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। অনেকেরই অভিযোগ, পাঁচ-সাত ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন না পেয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। এই বিষয়ে বাইলানি রূপমারী থেকে আসা স্বপন মণ্ডল ও জয়ন্ত বেরা বলেন, প্রচণ্ড গরমে কতক্ষণই বা এভাবে রোদে দাঁড়িয়ে থাকা যায়! এভাবে রোদে দাঁড়িয়ে থাকলে ‘স্ট্রোক’ হয়ে মারা যেতে হবে। হিঙ্গলগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রের খবর, সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাতে ভ্যাকসিন পাওয়া যায়, তার জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যকর্মীদের বক্তব্য, ভ্যাকসিন এলেই তা দেওয়া হবে।