যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
রবিবার ভোট শেষের পরে রাতে ফের বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। রাতভর কাঁকিনাড়া এলাকায় মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি হয়। প্রচুর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সোমবারও বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি হয়। তৃণমূলের অভিযোগ, রবিবার রাত থেকে অর্জুন বাহিনী ব্যাপক তাণ্ডব চালায়। অন্যদিকে, বিজেপির অভিযোগ, রবিবার রাত থেকে বোমাবাজি ও ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূলের বাহিনী। তৃণমূলী হামলার প্রতিবাদে সোমবার সকালে কাঁকিনাড়া স্টেশনে প্রায় দু’ঘণ্টা রেল অবরোধও হয়। সকাল ৭টা ৫ মিনিট থেকে অবরোধ শুরু হয়। পুলিস-প্রশাসনের আশ্বাসে ৯টা ১৩ মিনিটে অবরোধ ওঠে। অবরোধের জেরে এদিন ১০ জোড়া লোকাল ট্রেন বাতিল হয়েছে। আপ-ডাউনে ১৩টি ট্রেন দেরিতে চলাচল করে। বিজেপির জেলা সভানেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, তৃণমূলীদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষ রেল অবরোধে শামিল হয়েছিলেন। বিজেপি কোনও অবরোধ করেনি। মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও হামলাকারী তৃণমূলীদের গ্রেপ্তারির দাবিতে জগদ্দল থানায় বিক্ষোভ দেখিয়ে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। ডিসি (জোন-১) কে কান্নন বলেন, গত দু’দিনে মোট ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রবিবার রাতের পর সোমবারও আর্যসমাজ সহ বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় বোমাবাজি হয়েছে। এদিন কাঁকিনাড়া বাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় কার্যত বন্ধের চেহারা নেয়। গোটা এলাকা থমথমে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে র্যাফ মোতায়েন করা হয়। তৃণমূলের ভাটপাড়া নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, রবিবার রাতে বিজেপি রুস্তম গুমটি এলাকায় বাড়ি ভাঙচুর করে। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি করা হয়। সোমবার সকালেও কাঁকিনাড়া লাইনে বহু মানুষের বাড়ি, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সাতজন জখম হয়েছেন। গোটা এলাকাজুড়ে বিজেপি তাণ্ডব চালিয়েছে।
অন্যদিকে, অর্জুন সিং বলেন, রবিবার রাত দু’টোর পর থেকে চালতা রোড, পাঁচ নম্বর সাইডিং লাইনে বহু কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তৃণমূলীদের হামলায় প্রায় ১০০ কর্মী জখম হয়েছেন।