দেশ

‘কহি পে নিগাহেঁ, কহি পে নিশানা’, আবু আজমির গ঩ড়ে ‘নবাব’ আসলে কার?

মুম্বই: ‘কহি পে নিগাহেঁ, কহি পে নিশানা’! মজরুহ সুলতানপুরীর লেখা বলিউডি গানের কলি যেন কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে মুম্বইয়ের মানখুর্দ শিবাজি নগরের আনাচেকানাচে। মহারাষ্ট্রে এবারের বিধানসভা নির্বাচনে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সংখ্যালঘু প্রভাবিত এই আসনটি। কারণ একটাই—এখানে বিজেপি জোট মহাযুতির প্রার্থী কে? এনসিপি অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর নবাব মালিক না একনাথ সিন্ধেপন্থী শিবসেনার সুরেশ পাতিল? সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।
গোটা রাজ্যের মতো মানখুর্দেও শাসক মহাযুতির সঙ্গে জোর টক্কর বিরোধী মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ)-র। এমভিএ-র শরিক সমাজবাদী পার্টির (সপা) নেতা আবু আজমি গড় এই বিধানসভা কেন্দ্র। ২০০৯ থেকে টানা এখানে জিতে আসছেন তিনি। এবার এই হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী ময়দানে বিতর্কিত এনসিপি নেতা নবাব মালিক। তাঁর মনোনয়ন নিয়েও অবশ্য নাটক কিছু কম হয়নি। প্রথমে নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। পরে অজিত পাওয়ারের এনসিপি তাঁকে টিকিট দিয়েছে। অর্থ পাচার এবং কুখ্যাত আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দাউদ ইব্রাহিমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভিযোগে ইডি গ্রেপ্তার করেছিল নবাবকে। কিছুদিন আগেও জেলে ছিলেন। তাই বরাবর দাউদ ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ তুলে নবাবকে আক্রমণ করে এসেছে অজিতের জোটসঙ্গী বিজেপি। এবার তিনিই মহাযুতির প্রার্থী! বিষয়টিকে মোটেই ভালোভাবে নেয়নি বিজেপি। তাদের জোটের আর এক শরিক একনাথ সিন্ধের শিবসেনাও তাই লড়াইয়ের ময়দানে। তাদের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সুরেশ পাতিল। অর্থাৎ মহাযুতি শিবিরের জোড়া প্রার্থী এই আসনে মুখোমুখি।
নবাব গতবার যে আসন থেকে জিতেছিলেন, সেই অনুশক্তি নগরে তাঁর মেয়ে সানা মালিককে প্রার্থী করেছে অজিতের দল। সানাকে সমর্থন করলেও নবাবের পাশে থাকবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি। সব মিলিয়ে মানখুর্দে কার্যত জোটের জগাখিচুড়ি। বিজেপির এই অবস্থানে অবশ্য কৌশলই দেখছে রাজনৈতিক মহল। বিরোধী শিবিরও এতে দোস্তির মধ্যে কুস্তির চিত্রনাট্য দেখতে পাচ্ছে। তাদের দাবি, নবাব ও বিজেপি একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন। ফলে আবু আজমির মুসলিম ভোটব্যাঙ্কে বিভাজন ঘটতে পারে। নবাব সংখ্যালঘু ভোটে সিঁদ কাটলে লাভবান হবেন সিন্ধের দলের প্রার্থী। এই কৌশলকেই বলা হচ্ছে, কহি পে নিগাহেঁ, কহি পে নিশানা। এরইমধ্যে এআইএমআইএম প্রার্থী আতিক আহমেদ খানও তাল ঠুকছেন।  
সব মিলিয়ে মানখুর্দে ভোট কাটাকুটির অঙ্ক কষছে সব পক্ষ। এখানকার এক সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীর মুখেও উঠে এসেছে এই আশঙ্কার কথা। তিনি বলেছেন, এবার মুসলিম ভোট ভাগভাগির হলে সহজেই বাজিমাত করতে পারেন সিন্ধে-সেনার প্রার্থী। মনে করা হচ্ছে, এবার জয়-পরাজয়ের ব্যবধান দু’-তিন হাজারের মধ্যেই থাকবে। কাজেই এবার আবু আজমির লড়াইটা একেবারেই সহজ নয়। তারই মধ্যে এলাকায় অপরাধের বাড়বাড়ন্ত, মাদকের রমরমা, বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য প্লান্টের দূষণের মতো ইস্যু রয়েছে। তাই বর্তমান বিধায়কের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাও এবার ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারে। যদিও অনেকে বলছেন, নবাবকে ভোট দেওয়া মানে তো পরোক্ষে বিজেপির হাত শক্ত করা। এখানকার মানুষ তা চায় না। তাই নবাব মুসলিম ভোটে কতটা থাবা বসাতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয়ও থাকছে। সংখ্যালঘু মহল্লায় সপা প্রার্থীর ভোটব্যাঙ্ক প্রায় অটুট। এই দাবি ও পাল্টা দাবির মধ্যে আবু আজমি তাঁর গড় ধরে রাখতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার। 
7h 7m ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সাংসারিক সুখ বাড়বে। জটিল কর্ম সম্পাদনে সাফল্য ও ওপরওয়ালার আস্থালাভ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৮ টাকা৮৫.৩২ টাকা
পাউন্ড১০৫.২৭ টাকা১০৯.০১ টাকা
ইউরো৮৭.৪৪ টাকা৯০.৮০ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
15th     November,   2024
দিন পঞ্জিকা