সংবাদদাতা, মানকর: প্রচণ্ড ধুলোর জেরে অতিষ্ট ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের কাঁকসা আন্ডারপাস সংলগ্ন সার্ভিস রোড এলাকার বাসিন্দারা। মাস দেড়েক আগে জাতীয় সড়কের এই সার্ভিস রোড সংস্কারের জন্য সম্পূর্ণভাবে খোঁড়া হয়। কিন্তু কাজের অগ্রগতি না হওয়ায় গাড়ি গেলেই ব্যাপক ধুলোয় ঢাকছে চারদিক। স্থানীয়দের অভিযোগ, ধুলোর জন্য কাশি ও শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। ধুলোর দাপট কমাতে নিয়মিত জল দেওয়া হচ্ছে না। 
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় মাস আগে সার্ভিস রোডটি সংস্কারের জন্য সম্পূর্ণভাবে খোঁড়া হয়। রাস্তা থেকে পিচ তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় ধুলোয় ঢাকছে এলাকা। অথচ রাস্তার ধারেই রয়েছে জনবসতি। ব্যাপক ধুলোর ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের। অভিযোগ, একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পিচ খোঁড়ার সময় তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল নিয়মিত জল দেওয়া হবে। কিন্তু একদমই জল দেওয়া হচ্ছে না দেখে বিষয়টি কাঁকসা থানায় জানানো হয়। থানার পক্ষ থেকেও জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু তারপরেও কোনও সুরাহা হয়নি। পরে বাঁশকোপায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের অফিসে গিয়েও বিষয়টি জানানো হয়। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হচ্ছে না দেখে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার বাসিন্দারা। তখন পুলিসের পক্ষ থেকে রাস্তাটি বন্ধ করা হয়। তাতে ধুলোর হাত থেকে কিছুটা রক্ষা মেলে। তবে, আচমকা রাস্তাটি বড় গাড়ি চলাচলের জন্য ফের খুলে দেওয়া হয়। তাতে আগের মতোই ধুলোর সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয়রা। তাঁরা জানান, ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের এই সার্ভিস রোড দিয়ে একদিকে কাঁকসা যাওয়া যায়। অন্যদিকে, পানাগড়-মোড়গ্রাম রাজ্য সড়কে ওঠা যায়। ফলে ইলামবাজার, বীরভূমগামী বড় ট্রাক, ডাম্পার এই রাস্তা ব্যবহার করেই রাজ্য সড়কে ওঠে। সারাদিন ব্যাপক চাপ থাকে এই সার্ভিস রোডে। 
স্থানীয় বাসিন্দা অর্পিতা কোনার লাহা বলেন, প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যে আছি। দরজা, জানালা বন্ধ থাকলেও মনে হচ্ছে ধুলোর মধ্যে আছি। এই সমস্যার সমাধান কবে হবে বুঝতে পারছি না। মিনতি সাহা বলেন, বাসন, খাবার সবেতেই ধুলো রয়েছে। বাড়ির উঠানে পা দেওয়া যাচ্ছে না এত ধুলো। 
স্থানীয় বাসিন্দা কালীপদ বাছার, শামিম খান বলেন, নিয়মিত জল দেওয়া হচ্ছে না। একবেলা করে মাঝমধ্যে দিচ্ছিল তাও এখন বন্ধ করে দিয়েছে। ধুলোর জন্য শরীর খারাপ করে যাচ্ছে। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। সারাদিন গাড়ি যাচ্ছে। আর আমরা ধুলো খাচ্ছি। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের দ্বায়িত্বে থাকা সৈকত কর বলেন, ওই রাস্তায় নিয়মিত জল দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।-নিজস্ব চিত্র