বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দক্ষিণবঙ্গ

গুপ্ত পাচামিতে দেদার লুট দামি কালো পাথর

সুমন তেওয়ারি, আসানসোল: শিল্পাঞ্চলের ‘গুপ্ত পাচামি’। অজয় নদের তীর বরাবর সালানপুর থেকে বারাবনি ১০ কিলোমিটার এলাকা অবৈধ পাথর খাদানের মুক্তাঞ্চল। নদীর তলদেশে বাঁধ দিয়ে গতিপথ পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। বালির বাঁধে জল আটকে নদীর তলদেশে কেটে তৈরি করা হচ্ছে পাথর খাদান। প্রকাশ্যে দিনের পর দিন এই কাজ চললেও নীরব পুলিস ও প্রশাসন। খাসজমি, বনাঞ্চল কেটে একের পর এক খাদান গড়ে উঠলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বনদপ্তর। জায়গায় জায়গায় মাফিয়াদের গুন্ডাবাহিনীর কড়া নজরদারি। কোনওরকম নিরাপত্তা ছাড়াই কয়েকশো ফুট গভীর পাথর খাদান গড়ে উঠছে। কোটি কোটি টাকার পাথর লুট হচ্ছে। বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। প্রভাবশালী যোগে পাথর পাচারের বড় সিন্ডিকেট গজিয়ে উঠেছে শিল্পাঞ্চলে। 
সালানপুরের ব্লক সদর রূপানারায়ণপুর। হিন্দুস্থান কেবলসের কঙ্কালসার কোয়ার্টারের পাশ দিয়ে উত্তরামপুর জিৎপুর পঞ্চায়েত এলাকা হয়ে গেলেই মিলবে কেশিয়া। নামো কেশিয়া, কেশিয়া, জিৎপুর গ্রামের ‘সোনা’ হচ্ছে কালো পাথর। নদীর চরের দিকে কিছুটা এগলেই অপরিচিত মুখ দেখে চক্কর কাটতে থাকে বাইক বাহিনী। মোড়ে মোড়ে যুবক বাহিনী দাঁড়িয়ে। নদীর দিকে যেতে চাইলেই কারণ জানাতে হবে। ইট কেনার অজুহাতে তাদের ‘বেড়া’ টপকাতেই দেখা মিলল এক পৃথক সাম্রাজের। সারি দিয়ে রয়েছে ইটভাটা ও একের পর এক পাথর খাদান। মাটির রাস্তা, জোড় বা ছোট নদী পেরিয়ে দেখা মিলবে অজয়ের। এখানে পাথরের তলদেশ দিয়ে বইছে দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বড় নদ। তাই নদীর গতিপথ পাল্টে দিচ্ছে তারা। ওপারে চিত্তরঞ্জন শ্মশান আর নদীর এপারে বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে এই পাথর খাদান। নদী দখল করে একটি পাথর খাদান দেখা গেলেও তীর বরাবর লাইন দিয়ে একের পর এক বিশাল এলাকাজুড়ে অবৈধ পাথর খাদান। নামো কেশিয়া হয়ে খাদানগুলি ছড়িয়ে পড়েছে জিৎপুর গ্রামের নদীতটেও। জিৎপুর পেরিয়ে কল্ল্যা পঞ্চায়েত এলাকাতেও একইভাবে রয়েছে একাধিক খাদান। 
সালানপুর ব্লকের সীমানা পেরিয়ে বারাবনি ব্লক। পানুরিয়া পঞ্চায়েতের কাশকুলি অবৈধ পাথর খাদানের সংখ্যা হার মানাতে পারে বীরভূমের পাচামিকেও। বিশাল এলাকাজুড়ে খাদানগুলি গড়ে তোলা হয়েছে। খাদানের ভিতরে ডিনামাইট বিস্ফোরণ করে পাথরের চাঁই ভাঙা হয়। তারপর একাধিক ভারী মেশিন দিয়ে খাদানের নীচে ডাম্পারে লোড হচ্ছে সেই কালো পাথর। তারপর তা নির্দিষ্ট গন্ত঩ব্যে ছড়িয়ে পড়ছে। কখনও ডাম্পারভর্তি ২০০ঘনফুট পাথর বিক্রি হয় ৩৮০০টাকায়। কখনও ২৫০ঘনফুট পাথরের দাম ওঠে পাঁচ হাজার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন কয়েকশো ডাম্পারে পাথর এই গুপ্ত পাচামি থেকে বেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ছে শিল্পাঞ্চলের নানা প্রান্তে।
সালানপুরের ভূমি রাজস্ব দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরো ব্লকে একটিমাত্র পাথর খাদানের বৈধ অনুমতি আছে। প্রভাবশালীরা এই কারবারে যুক্ত থাকায় কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি দিনের পর দিল লুট হচ্ছে। কিন্তু, সরকার কোনও রাজস্ব পাচ্ছে না। 
বিরোধীদের অভিযোগ, পুরো কারবার নিয়ন্ত্রণ করে এখানকার অতি প্রভাবশালী জনপ্রতিনিধির দোর্দণ্ডপ্রতাপ এক ভাই ও শাসকদলের অবাঙালি এক নেতা। যাঁর ফ্যাক্টরিও গজিয়ে উঠেছে এই অঞ্চলে। সবাইকে সন্তুষ্ট করে তাঁরা নিজেদের পকেট ভরছেন। স্থানীয়রা খাদানে, বাইক বাহিনীতে কাজ পাওয়ায় কারবারে মদত দিচ্ছেন। বারাবনির বিডিও দেবাঞ্জন বিশ্বাস বলেন, নদী দখল করে খাদানের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
15h 15m ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পদার্থ ও রসায়নিক বিদ্যার অনুশীলনে বিশেষ উন্নতি।প্রায় সম্পূর্ণ কাজে বাধা আসতে পারে। বিকেল থেকে মানসিক...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৫.৭৮ টাকা৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড১০৫.৯৮ টাকা১০৯.৭২ টাকা
ইউরো৮৮.৭৪ টাকা৯২.১১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা