যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর শুভঙ্কর সেনের কথায়, আমেরিকার অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভালো নয়। পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক লড়াই। এগুলি সোনার দাম বাড়ানোর জন্য বড় ইন্ধন। আমেরিকা, চীন বা ভারত তাদের আর্থিক বৃদ্ধির জন্য শিল্পে ঋণ বাড়াতে পারে। সুদের হার কমলে, বাজারে নগদ টাকার জোগান বাড়বে। আমেরিকা সুদের হার কমাতে পারে বলে আশায় আছে গোটা বিশ্ব। এক্ষেত্রে বিনিয়োগের জন্য সোনার উপর আস্থা রাখবেন বিনিয়োগকারীরা। তাতে দাম বাড়বে, এটাই স্বাভাবিক। এখন ভারতে ভোট চলছে। ফলাফল কী হবে, তা নিয়ে বিনিয়োগকারীরাও চিন্তিত। সেক্ষেত্রে কম ঝুঁকির বিনিয়োগ হিসেবে সোনা আদর্শ। তাতে দেশের অভ্যন্তরে চাহিদা ও দাম বাড়তে পারে। আগামী বছর আমেরিকায় সাধারণ নির্বাচনেও সেই একই ফর্মুলা কার্যকর হবে বলে মনে করছেন শুভঙ্কর সেন। তাঁর কথায়, এই যেখানে পরিস্থিতি, সেখানে বাঙালি যদি পয়লা বৈশাখ বা তার আশপাশে সোনা কেনে, তাহলে তা হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ। পি সি চন্দ্র জুয়েলার্সের কর্ণধার শুভ্র চন্দ্রের কথাতেও সোনার দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সবাই আমেরিকার সুদের দিকে চেয়ে আছি। সেদেশে অর্থনৈতিক অবস্থা খানিকটা টালমাটাল। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই সোনার দাম বাড়ে। সেই আঁচ এসে পড়তে কতক্ষণ? অঞ্জলি জুয়েলার্সের কর্ণধার অনর্ঘ চৌধুরী অবশ্য দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন না এখনই। বলছেন, এখন সোনার দর একটা জায়গায় থমকে আছে। সোনা দরকার সবসময়ই। তাই এখনই তা কেনা ভালো।
বিশ্বের তাবড় রিসার্চ সংস্থার রিপোর্ট বলছে, সোনার দাম ঊর্ধ্বমুখী হবে, দাবি করেছেন ইন্ডিয়া বুলিয়ান অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য শাখার প্রেসিডেন্ট চেয়ারম্যান পঙ্কজ পারেখ। তিনি বলেন, শনিবার আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ছিল প্রতি আউন্স (এক আউন্সের অর্থ প্রায় ২৮.৩৫ গ্রাম) ১২৯০.৮ মার্কিন ডলার। এই দর কিন্তু ‘সস্তা’, দাবি তাঁর। কলকাতায় ২৪ ক্যারেট ১০ গ্রাম সোনার দাম ৩২ হাজার টাকার কিছু বেশি। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম কমে যাওয়ার কারণে এখানে সোনা এখনও চড়া। তার সঙ্গে আছে ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক। তা না হলে কিন্তু ভারতও সস্তায় সোনা বেচত, বলছেন পঙ্কজবাবু। একটি বিশ্ব স্বীকৃত রিপোর্ট বলছে, সোনার দাম চলতি বছরেই প্রতি আউন্স ১ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার ছুঁতে পারে। তার প্রভাব তো এখানে পড়বেই, মনে করছেন তিনি।