বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের মেডিক্যাল সুপারিন্টেন্ডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল সুরজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, চারটি লিফটের মধ্যে একটি, দু’টি লিফট মাঝেমধ্যে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্তি ব্যবহার, বেশি লোক ওঠা প্রভৃতি কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। লিফ্ট সারানোর জন্য কলকাতায় জানানো হয়েছে। সেখান থেকে মেকানিক এসে সারাই করবে।
রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, লিফ্ট খারাপ হয়। আবার তা সারানোও হয়। কিন্তু লিফট শুধু সারানো হলেই হবে না, এর জন্য কিছু বিধি নিষেধ রয়েছে। সেই নিয়মগুলোও মানুষকে মেনে চলতে হবে। না হলে এই সমস্যা কোনওভাবেই মেটানো যাবে না।
রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্মী জয়ন্ত রায় বলেন, একটি লিফ্ট বেশকয়েক দিন হল খারাপ রয়েছে। আরও একটি লিফ্ট কয়েকদিন আগে বিকল হয়েছে। এতে সকলের স্থান সংকুলান হচ্ছে না। এর ফলে রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই নিরাপত্তারক্ষীদের গণ্ডগোল বাধছে। এটা আমাদের কাছে অতিরিক্তি চাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই লিফটগুলিকে ভালো ভাবে সারানো হোক।
রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের সামনের অংশে দু’টি লিফ্ট ও পিছনের অংশে হাসপাতালের কর্মীদের ব্যবহারের জন্য দু’টি লিফট রয়েছে। এই দুই অংশেরই একটি করে লিফট খারাপ হয়ে রয়েছে। এরমধ্যে রোগীদের চলাচলের অংশের একটি লিফট প্রায় ১৪ দিন ধরে খারাপ হয়ে রয়েছে। এই লিফটগুলিতে একসঙ্গে ১০-১২ জন উঠতে পারে। এতে রোগী সহ স্ট্রোচার, হুইল চেয়ার প্রভৃতিও ওঠানো হয়। ১০ তলা এই বিল্ডিংটিতে লিফট না থাকলে রোগীদের একতল থেকে অন্যতলে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা দেখা দেয়। এবার রোগীদের অংশের একটি লিফট এতদিন ধরে খারাপ থাকায় একটি লিফট ব্যবহার করেই সমস্ত রোগীকে ওপরে নিয়ে যেতে এবং ওপর থেকে নামাতে হচ্ছে। এতে সময় বেশি লাগছে। এর ফলে অনেক রোগীকেই লিফ্টের জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। অনেক মুমূর্ষু রোগীর আত্মীয়দের লিফটের গেটে উদ্বিগ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এদিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পিছনের অংশে কর্মীদের ব্যবহারের জন্য একটি লিফট দিন কয়েক হল খারাপ হয়ে গিয়েছে। এতে হাসপাতালের বিভিন্ন সামগ্রী একতলা থেকে বিল্ডিংয়ের অন্যান্য তলায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অসুবিধা হচ্ছে। সবক্ষেত্রেই ওই কর্মীদের লিফ্টের গেটে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। একবার একতলায় এলে আবার আটতলায় কোনও কাজে যেতে অনেকটা সময় লেগে যাচ্ছে।
রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এই ১০ তলা ভবনটির নির্মাণ হওয়ার পর থেকে কখনও ফলস সিলিং খুলে পড়া, কখনও অপারেশন থিয়েটারের লাইটের একাংশ খুলে পড়া, কোনও কোনও জায়গায় পলেস্তারা ফুলে ওঠা সহ একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে।