বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
গত বুধবার ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ সফল করার জন্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে কিষান ক্ষেতমজদুর সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বেচারাম মান্না দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বড়সড় জমায়েত করার বার্তা দিতে এসেছিলেন। সেখানে অল্প সময়ের নোটিসেই এসসিএসটি সেলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণবাবুর নেতৃত্বে কয়েক হাজার দলীয় কর্মী সমর্থক সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। সবকিছু ঠিকভাবে হয়ে গেলেও সভা শেষে জেলা পরিষদের বাইরে এক যুবককে তৃণমূল সমর্থকরা তাদের গাড়িতে ভাঙচুর, হাওয়া ছাড়তে দেখলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তৃণমূলের যুব জেলা সম্পাদক কৌস্তভ তলাপাত্রের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ এনে তৃণমূল সমর্থকরা তাঁকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে দেয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিস ওই যুবনেতাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পুরো ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দু’টি অভিযোগ হয়। বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে কোতোয়ালি থানা তথা শহরের একাংশে দিনভর অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। শাসকদলের ওই বিরোধ নিয়ে বিরোধীরাও সমালোচনায় সরব হয়েছে। কৃষ্ণ দাসের ডাকে সাড়া দিয়ে খোদ এমপি বিজয় চন্দ্র বর্মনও থানায় এসেছিলেন। রাজনৈতিকমহল বলছে, কৃষ্ণ দাসের ডাকে এমপি একা নন, দলের ব্লক সভাপতি থেকে কয়েকটি অঞ্চলের প্রধান, পঞ্চায়েতরা তাঁর পাশে দিনভর থেকেছেন। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি জেলার ১৫০ বছর পূর্তি উৎসব, করিমূল হক ও স্বপ্না বর্মনকে সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে কৃষ্ণ দাস হাজার হাজার মানুষের জমায়েত করেছেন। দলীয় সূত্রে খবর, কৃষ্ণবাবুর সাংগঠনিক দক্ষতায় জেলায় বিরোধীরা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। তৃণমূল জেলা সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, দলে কোনও বিরোধ বরদাস্ত করা হবে না।