বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
তৃণমূল নেতৃত্ব এদিন জানিয়েছে, আব্দুর রহিম বক্সির সঙ্গে একাধিক স্থানীয় আরএসপি নেতা দলে যোগদান করেছেন। চাঁচল-১ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেসী পূর্ত কর্মাধ্যক্ষও এদিন তৃণমূলে যোগ দেন। উত্তর মালদহের রাজনৈতিক পরিসরে দাপুটে রহিম বক্সিকে দলে যথাযোগ্য মর্যাদা দেওয়া হবে বলে শুভেন্দুবাবু উত্তর মালদহ লোকসভারই অন্তর্গত পাকুয়ার সভা থেকে জানিয়েছেন। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রাক্তন বাম বিধায়ককে দলের শাখা সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।
উত্তর মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বামনগোলার পাকুয়াহাটের সভা এদিন দলের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সদ্য পঞ্চায়েতে এখানে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করে বিজেপি সাফল্য পেয়েছে। তারপর এই প্রথম সভাতেই ব্যাপক জনসমাগম করে তৃণমূল নেতৃত্ব নিজেদের দাপট অনেকটাই প্রমাণ করে দিয়েছে। ফলে উচ্ছ্বসিত শুভেন্দুবাবুও তেড়ে বিজেপি’র সমালোচনা করেছেন। এদিনের সভার শুরুতেই তিনি বলেন, বিজেপি’র সরকার পুরোপুরি মিথ্যচারের সরকার। এখনও পর্যন্ত বিজেপি তাদের দেওয়া কোনও আশ্বাসই পূরণ করেনি। প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া থেকে শুরু করে ‘আচ্ছে দিন’ কিছুই আমরা পাইনি। বরং দেখা গিয়েছে, রাজ্যে রাজ্য বিজেপি জিতলে পেট্রল, ডিজেলের দাম বাড়ে। আর সদ্য কয়েকটি রাজ্যে হারের পর দেখা গেল নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমে গিয়েছে। তাই বিজেপি’কে হারালেই জিনিসের দাম কমবে, মানুষের সংসারে স্বস্তি আসবে। মনে রাখবেন কেন্দ্রে এবার কেউই একক ক্ষমতায় সরকার গড়তে পারবে না। আর এই অবস্থায় তৃণমূলের গুরুত্ব বহুলাংশে বেড়ে গিয়েছে। চন্দ্রশেখর রাও, চন্দ্রবাবু নাইডু, ফারুক আবদুল্লা তো বটেই বিজেপি’র নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা পর্যন্ত চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেশের কান্ডারি হোন। স্থানীয় এলাকায় বিজেপি’র ভূমিকা নিয়েও এদিন সমালোচনায় সরব হন শুভেন্দুবাবু। বলেন পঞ্চায়েতে বিজেপি বলেছিল কেন্দ্র থেকে টাকা এনে গ্রামের উন্নয়ন করবে। রাজ্যের টাকা লাগবে না। তো বেশকিছু পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি তো ওরা জিতেছে। কি কাজ হয়েছে বলুন? আমি শুনছি বিজেপি’র নেতারা বলে বেড়াচ্ছেন, রাজ্য তৃণমূলের, জেলা পরিষদও ওদের, প্রশাসনও তৃণমূলের ফলে ওদের হাতেই উন্নয়নের চাবিকাঠি আছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও মানুষের কাছে আবেদন করেছিলাম উন্নয়নের জন্যে তৃণমূলের সঙ্গে আসুন। আমি আবারও বলছি, উন্নয়ন শুধু তৃণমূলই করতে পারে। তাই তো সমর মুখোপাধ্যায়, সাবিনা ইয়াসমিনরা আমাদের সঙ্গে এসেছেন। মইনুল হাসানের মতো জাতীয় নেতা আমাদের সঙ্গে এসেছেন। এদিন রহিম বক্সিও সেই কারণেই আমাদের সঙ্গে এসেছেন। এখনও যাঁরা মনে করেন মানুষের কাজ করতেই তাঁরা রাজনীতি করছেন আমি বলব আমাদের দলে আসুন। সবার জন্যে আমাদের দরজা খোলা আছে।
এদিনের সভা থেকে কংগ্রেস সংসদ সদস্য ডালুবাবুর নাম করে শুভেন্দু বলেন, উনি ভুলেই যান যে কোতোয়ালির পঞ্চায়েতের প্রধান পদ আমরা দয়া করে ছেড়েছিলাম। উপপ্রধান আমরা নিয়েছিলাম। মালদহের দু’টি আসনেই আমরা হৈহৈ করে জিতব। ওই সভা থেকে মালদহের হবিবপুর বামনগোলার সাংগঠনিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, এখন ব্লক ধরে জেলা পরিষদের দুই নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছি। প্রয়োজনে অঞ্চলভিত্তিক দায়িত্ব দেব। জিত আমাদেরই হবে। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়ে প্রাক্তন বাম বিধায়ক রহিম বক্সি বলেন, গোপনে কোথাও যাব না বলেছিলাম তাই প্রকাশ্য সভায় তৃণমূলে যোগ দিলাম।