যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
গত বছরের ২৯ অক্টোবর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে লায়ন এয়ারের একটি বোয়িং ৭৩৭ বিমান। তার পাঁচ মাসের মাথায় এ বছরের ১০ মার্চ ফের দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমান। দু’টি দুর্ঘটনায় সবমিলিয়ে প্রাণ হারান ৩৪৬ জন। যার জেরে তড়িঘড়ি তদন্ত নামে বিমান নির্মাতা সংস্থা বোয়িং। তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পারেন, দু’টি ক্ষেত্রেই মুখ গুঁজে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বিমান দু’টি। যেখানে পাইলট বিমানকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলেও তা পারেননি। ‘অটোমেটেড ম্যানুভেরিং ক্যারেক্টাস্টিকস অগমেন্টেশন সিস্টেম’ বা এমসিএএস প্রযুক্তির ব্যর্থতা বিমান দু’টিকে মাথা গুঁজে দুর্ঘটনার কবলে ফেলে।
তদন্তের পর বৃহস্পতিবার বোয়িংয়ের চেয়ারম্যান, প্রেসিডেন্ট এবং সিইও ডেনিস মুইলেনবার্গ বলেন, ‘সুরক্ষাই আমাদের অগ্রাধিকার। সে কথা মাথায় রেখেই সমস্ত বিমানের প্রযুক্তির সফটওয়্যার আপডেট করেছি আমরা। এখন আমরা বিমানগুলিকে ওড়ার জন্য চূড়ান্ত শংসাপত্র দেওয়ার দিকে এগোচ্ছি।’ এমসিএএস প্রযুক্তির এই সফটওয়্যার আপডেটের ফলে দুর্ঘটনা এড়ানো যাবে বলে জানিয়েছে বোয়িং। ডেনিস আরও জানিয়েছেন, ‘সফটওয়্যার আপডেটের পর এ পর্যন্ত ২০৭টি বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স বিমানকে ৩৬০ ঘণ্টার বেশি উড়িয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে।’
আগামী সপ্তাহেই ডালাসে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বসছে। সেই বৈঠকে যোগ দেবে বিভিন্ন দেশের অসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা। সেখানে বোয়িংয়ের দুর্ঘটনার বিষয়টি উঠে আসার কথা। তার আগে সংস্থার তরফে সফটওয়্যার আপডেটেডের খবরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লায়ন ও ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমান দুর্ঘটনার পর বিশ্বজুড়ে বসিয়ে দেওয়া হয় বোয়িং ৭৩৭ বিমানকে। ভারতের বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলিও বোয়িং উড়ান বন্ধ করে দেয়। যার জেরে ক্ষতির মুখে পড়ে বিমান পরিবহণ সংস্থাগুলি। সবথেকে বেশি ক্ষতি হয় স্পাইসজেটের। ১২টি বোয়িং বিমান বসিয়ে দেয় তারা। আর্থিক সঙ্কটের জেরে উড়ান বন্ধ থাকায় নতুন করে বোয়িং বিমান বন্ধ করতে হয়নি আর এক সংস্থা জেট এয়ারওয়েজকে।