বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
রেলমন্ত্রকের ডিরেক্টর (ইনফর্মেশন অ্যান্ড পাবলিসিটি) রাজেশ ডি বাজপেয়ি জানিয়েছেন, ৯ জানুয়ারি রাতে উল্লিখিত এক্সপ্রেসে নগদ টাকা এবং অলঙ্কার মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার ডাকাতি হয়েছে। নিউ দিল্লি-ভাগলপুর এক্সপ্রেসের ১০ জন যাত্রী পরে জামালপুর জিআরপিতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আইপিসি ৩৯৫ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তও শুরু করেছে জামালপুর জিআরপি। এই ঘটনায় কোনও যাত্রী আহত হননি বলেও দাবি করেছেন রেলের ওই আধিকারিক। রেলমন্ত্রক সূত্রের খবর, নিউ দিল্লি ভাগলপুর এক্সপ্রেসের ওই ঘটনার পরেই ট্রেনে ডাকাতি রুখতে আরও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর সেখানেই রেলের আন্তঃজোনাল অঞ্চলগুলিতে এই ইস্যুতে স্পেশাল স্কোয়াড গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্রেনে ডাকাতির ঘটনা আটকানোর জন্য আরপিএফের নজরদারির পরিমাণ অন্তত দ্বিগুণ বৃদ্ধি তো করা হচ্ছেই। তারই সঙ্গে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রেলযাত্রীদের ভিড়ে মিশিয়ে দেওয়া হবে সাদা পোশাকের রেল পুলিশকর্মীদেরও। সূত্রের খবর, এমনিতেই শীতকালে বিশেষত উত্তর ভারতগামী ট্রেনগুলি প্রবল কুয়াশার কারণে অত্যন্ত দেরিতে চলে। একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় অন্য দূরপাল্লার মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতেও। আর এই লেট করে চলা ট্রেনগুলিকেই বিশেষভাবে টার্গেট করে দুষ্কৃতীরা। রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানত দেরিতে চলছে এমন দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেনগুলিতে বিশেষ নজরদারি চালানোর জন্য সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কীভাবে ফাঁদ পেতে ডাকাতদের হাতেনাতে পাকড়াও করা যায়, সেই কৌশল তৈরি করতেই এখন উদ্যোগী হয়েছেন আরপিএফের আধিকারিকেরা।
এমনিতেই কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর থেকে নতুন ট্রেনের ঘোষণার থেকে যাত্রী সুরক্ষায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। ভোটের বছর হলেও এবারের বাজেটেও দেশবাসীর নতুন কোনও ট্রেন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বদলে রেল লাইনের সংস্কার, দুর্ঘটনারোধী এলএইচবি কোচের উৎপাদন বৃদ্ধির মতো একাধিক বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি আরপিএফের ডিজি নিজেই জানিয়েছেন, যাত্রী সুরক্ষা আরও নিশ্চিত করতে এবার থেকে রেলের যাত্রীদের বিমানবন্দরের মতো ‘সিকিউরিটি চেক ইনে’র মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। যার ফলে স্টেশনে পৌঁছতে হবে নির্দিষ্ট ট্রেন ছাড়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে। এবার ট্রেনে ডাকাতি রুখতেও এভাবে স্পেশাল স্কোয়াড তৈরির সিদ্ধান্ত কাজে আসে কি না, তাই দেখতে চাইছে সংশ্লিষ্ট মহল।