বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে হাপুর জেলার একটি ফ্লাইওভার থেকে শেখরকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেখরের এই গ্রেপ্তারিতে বুলন্দশহর-কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৬। জানা গিয়েছে, বছর পঁচিশের যুবক শেখরকে মাস ছয়েক আগে বিজেপির যুব শাখা ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার স্থানীয় সিয়ানা ইউনিটের প্রধান পদে নিয়োগ করা হয়।
বুলন্দশহর-কাণ্ডের পর থেকেই বেপাত্তা ছিল অভিযুক্ত শেখর। নিখোঁজ থাকাকালীন সোশ্যাল মিডিয়ায় শেখরের একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেখানে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে সে। পাশাপাশি, নিহত পুলিসকর্মীকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও আক্রমণ করে অভিযুক্ত। ভিডিওতে সে জানায়, ঘটনার দিন তারা গোহত্যার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করতে চাইলে তা নিতে চাননি সুবোধ। এরপর গোরুটির দেহাবশেষ তারা থানায় নিয়ে যেতে চাইলে ওই ইন্সপেক্টর তাকে গুলি করার হুমকি দেয় বলেও ভিডিওতে অভিযোগ করে শেখর।
পুলিসের দাবি ছিল, ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল থেকে ডিউটি সেরে ফেরার পথে অশান্তির কথা ফোনে জানতে পারেন সুবোধ। তারপর তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কিন্তু, শেখর ভিডিওতে দাবি করে, পুলিসের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। সমস্ত ঘটনাটি সুবোধকুমারের সামনেই ঘটেছিল। পাশাপাশি শেখর জানায়, সে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ুর্বেদিকের ছাত্র এবং রাজ্যের যোগী সরকারের উপর তার পূর্ণ আস্থা রয়েছে।
গতবছর ৩ ডিসেম্বর বুলন্দশহরের সিয়ানা তহসিলের মাহাও গ্রামে একটি মাঠের মধ্যে গবাদি পশুদের দেহাবশেষ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে হিংসার সূত্রপাত ঘটে। যার বলি হন বছর চুয়াল্লিশের পুলিসকর্মী সুবোধ এবং বছর কুড়ির স্থানীয় বাসিন্দা সুমিত কুমার। ঘটনায় সিয়ানা থানায় ৮০ জনের নামে অভিযোগ করে এফআইআর দায়ের হয়। গত ৩ জানুয়ারি ঘটনার মূল অভিযুক্ত ও ষড়যন্ত্রী হিসেবে এফআইআরে নাম থাকা বজরং দলের স্থানীয় নেতা যোগেশ রাজকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।