বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
আজ এ ব্যাপারে বিজেপির অন্যতম কেন্দ্রীয় সম্পাদক তথা দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, ‘রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গুণ্ডারা বিজেপির নেতা, কর্মীদের উপর লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা বারবার বিষয়টি দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সামনে তুলেছি। এবারও জাতীয় পরিষদের বৈঠকের আগে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তৃণমূলী হামলার বিষয়টি নিয়ে আমাদের কথা হয়েছে। তাঁরা যা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নেবেন।’ বিজেপি সূত্রের খবর, এমনিতেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম রাজনৈতিক এজেন্ডাই হল দলের নেতা, কর্মীদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের লাগাতার হামলা সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ তো বটেই, ‘তৃণমূলী হামলা’ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি স্পষ্ট বলেছেন, বাংলায় গণতন্ত্র নেই। বিজেপির নেতা, কর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসক দল। মোদির ওই বক্তব্য পরে ট্যুইটও করা হয়। মোদির এভাবে বাংলায় ‘সন্ত্রাস’ নিয়ে সরব হওয়ার ঘটনায় বঙ্গ বিজেপি প্রথম থেকেই যথেষ্ট উজ্জীবিত। এই পরিস্থিতিতে গৃহীত রাজনৈতিক প্রস্তাবে বাংলার প্রসঙ্গটি অন্তর্ভুক্ত হলে তা বঙ্গ বিজেপিকে আরও কয়েক কদম এগিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামীকাল দুপুরে অমিত শাহর উদ্বোধনী ভাষণ দিয়ে শুরু হবে জাতীয় পরিষদের বৈঠক। পরের দিন, শনিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমাপ্তি ভাষণ দেবেন। দু’টো ক্ষেত্রেই বাংলার প্রসঙ্গ আসতে চলেছে বলে দলীয় সূত্রের খবর। এদিকে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা দেশেই ‘বিজয় লক্ষ্য ২০১৯’ কর্মসূচি গ্রহণ করতে চলেছে বিজেপির সর্বভারতীয় যুব সংগঠন ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা (বিজেওয়াইএম)। আজ এখানে এক সাংবাদিক সম্মেলনে যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী দলের এমপি পুনম মহাজন বলেন, ‘জাতীয় পরিষদের বৈঠকের শেষ দিন আগামী ১২ জানুয়ারি স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শকে সামনে রেখে দেশের যুব সমাজের সমস্ত প্রতিনিধির কাছে পৌঁছনোর লক্ষ্য নিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করা হচ্ছে। সারা দেশের অন্তত ৫০ লক্ষ যুবক-যুবতীর কাছে আমরা পৌঁছবো। কর্মসূচি চলাকালীন দেশের সমস্ত জেলায় বাইক র্যা লিও হবে। যুবদের সম্ভাষণ ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।’