বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
দুর্নীতির পারস্পরিক অভিযোগ নিয়ে স্পেশাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার সঙ্গে সংঘাতের প্রেক্ষিতে অক্টোবর মাসে রাতারাতি নির্দেশ জারি করে সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মাকে কার্যত ‘ঠুঁটো জগন্নাথ’ বানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। পাঠানো হয়েছিল ছুটিতে। দু’দিন আগে কেন্দ্রের সেই নির্দেশ খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু একইসঙ্গে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, এখনই বড় কোনও নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না ভার্মা। তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এক সপ্তাহের মধ্যে বৈঠক শুরু করতে হবে সিলেকশন কমিটিকে। সেই সূত্রেই গতকাল প্রথম বৈঠক করে কমিটি। সেখানে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ও প্রধান বিচারপতির মনোনীত সদস্য হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এ কে সিক্রি। বুধবার রাতদুপুর পর্যন্ত গড়িয়েছিল বৈঠক। কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ফের বৈঠকে বসে সিলেকশন কমিটি। সেখানে সিভিসি রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী এবং বিচারপতি সিক্রি সিবিআই প্রধানের পদ থেকে অলোক ভার্মার অপসারণের পক্ষেই মত দেন। তাঁকে বদলি করা হয় ডিরেক্টর জেনারেল ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স এবং হোমগার্ড পদে। পরবর্তী সিবিআই প্রধানের নাম চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত এই দায়িত্ব সামলাবেন নাগেশ্বর রাও।
যদিও বৈঠকে বারবারই ভার্মার অপসারণের বিপক্ষে মত দিয়েছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। তিনি বলেন, ভার্মাকে শাস্তি না দিয়ে বরং যে ক’দিন তিনি অফিস আসতে পারেননি, সেই ৭৭ দিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দেওয়া হোক। সূত্রের খবর, এর উত্তরে বিচারপতি সিক্রি বলেন, ‘ওঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে..’। তাঁকে কথা শেষ করতে না দিয়েই খাড়গে প্রশ্ন তোলেন, ‘কী অভিযোগ? কোথায় অভিযোগ?’ এমনকী, বৃহস্পতিবার বৈঠকের আগে খাড়গে জানান, তিনি সরকারের কাছে বেশ কিছু নথি চেয়েছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এবিষয়ে সিভিসির চালানোর তদন্তের রিপোর্ট। পাশাপাশি কমিটির সামনে ভার্মা যাতে উপস্থিত হয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করতে পারেন, সেই সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু খাড়গের এসব সওয়াল ধোপে টেকেনি। অলোক ভার্মাকে নিজের বক্তব্য পেশ করার সুযোগ না দিয়ে তাঁকে অপসারণের পক্ষেই মত দেন কমিটির দুই সদস্য।
আর কমিটির সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে আসতেই আসরে নামে কংগ্রেস। ট্যুইট করে বলা হয়, ‘বক্তব্য পেশের সুযোগ না দিয়েই অপসারণ করা হল অলোক ভার্মাকে। এই ঘটনা ফের প্রমাণ করল যে কোনও তদন্তেই ভয় পাচ্ছেন মোদি। সেটা যৌথ সংসদীয় কমিটি হোক বা স্বাধী সিবিআই ডিরেক্টর হোক।’
গোটা ঘটনাই সিবিআইয়ের ইতিহাসে এই প্রথম।