যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এদিনই উত্তরপ্রদেশের এক নির্বাচনী সভায় নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে তৃণমূল। বিদ্যাসাগরের পঞ্চধাতুর মূর্তি বানিয়ে দেওয়া হবে। সেই প্রসঙ্গ তুলে দৃশ্যত ক্ষুব্ধ মমতা বলেন, মিটিং করে বলছেন, বানিয়ে দেব। মূর্তি ভেঙে বানিয়ে দিলেই হয়ে গেল? আবেগ ও ঐতিহ্য ভেঙে নতুন করে গড়া যায় না। কত বড় মিথ্যাবাদী! তৃণমূল ভেঙেছে! সব টিভি চ্যানেল দেখিয়েছে, কারা গোলমাল পাকিয়েছে, মূর্তি ভেঙেছে। এত বড় মিথ্যাবাদী লোক, কান ধরে ওঠবোস করানো উচিত। মোদিবাবু, বাংলা তোমার কাছে ভিক্ষে চায় না। আরেকজন বলছে, বাংলা নাকি কাঙাল হয়ে গিয়েছে! কত বড় সাহস, স্পর্ধা! বাংলাকে অপমান করছে!
এদিন দুটি সভাতেই মমতার অভিযোগ, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) লুট করার চক্রান্ত করছে বিজেপি। মধ্যরাতে ইভিএম বদলে দেওয়ার ছক কষা হয়েছে। দিল্লি থেকে আজই খবরটা পেলাম। মধ্যপ্রদেশে এসব করতে গিয়ে ওরা (বিজেপি) ধরা পড়েছিল। গেরুয়া শিবিরের এহেন চেষ্টা রুখতে নেত্রীর নিদান— রাত জেগে পাহারা দিন স্ট্রং রুম। প্রয়োজনে স্ট্রং রুমের কাছে ক্যাম্প করে থাকবেন। কেউ খাবার বা জল দিলে নেবেন না। ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দিতে পারে। নিজেদের খাবার ও জল নিজেরাই জোগাড় করে রাখবেন। স্ট্রং রুমের উপর কড়া নজর রাখতে হবে। প্রয়োজনে আট ঘণ্টার শিফট করে পাহারা দিতে হবে। মমতার ঘোষণা, রাত জেগে যাঁরা পাহারা দেবেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব আমার। এদিনের দু’টি সভাতেই মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। নজরকাড়া উপস্থিতি ছিল তরুণ প্রজন্মেরও। এঁদের কথা মাথায় রেখেই তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য, মা-বোনেরা লড়তে হবে কিন্তু। লড়বেন তো? সমস্বরে জবাব মেলে— হ্যাঁ, হ্যাঁ। মমতা বলে চলেন, রান্নাও করবেন, পাহারাও দেবেন। আর সেন্ট্রাল ফোর্স অত্যাচার করতে এলে, হাতের কাছে যা পাবেন, তা নিয়েই রুখে দাঁড়াবেন। নতুন প্রজন্মের যাঁরা রয়েছেন, সেই সমস্ত ছেলেমেয়েদের বলছি, ইভিএম লুট করার কোনও চেষ্টা হলে অথবা সেন্ট্রাল ফোর্স কোনও অত্যাচার করতে এলে মোবাইলে ছবি তুলে রাখুন, পাঠিয়ে দিন আমাদের। দলের তরফে পুরস্কার দেওয়া হবে। ইভিএম লুটের মতোই বিজেপির বিরুদ্ধে আরও এক চক্রান্তের অভিযোগ আনেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, নানা প্ল্যান চলছে, এমনকী আমাকে রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্ট করিয়ে মেরে দেওয়াও হতে পারে। বলবে, ওটা তো অ্যাক্সিডেন্ট ছিল।
ডায়মন্ডহারবারে সভা করতে এসে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে তাঁর ভাইপো তথা ওই কেন্দ্রের প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ডায়মন্ডহারবারের এদিনের সভায় সেই প্রেক্ষিতে মমতা বলেন, অভিষেক প্রেম করে বিয়ে করেছে। মেয়েটা পাঞ্জাবি, বাংলা বলতে পারে না। অভিষেকের বউয়ের পিছনেও লেগেছে। দু’টো বালা ছিল সঙ্গে, তা নিয়েও কত জল্পনা, কত রটনা। কীভাবে পিছনে লেগেছে বুঝুন, এদের পাঁচ বছরের বাচ্চা মেয়েটারও খারাপ লেগেছে। আমায় এসে বলছে, দিদি, নরেন্দ্র মোদি ব্যাড ম্যান। আমার মাকে জেলে ঢোকাতে চাইছে। এরপরই পাল্টা তোপ দেগে মমতা বলেন, মথুরাপুরে আজ যেখানে মিটিং করছেন, সেই জমির মালিক কে? এক চিটফান্ডের মালিক, মাইক্রো ফাইনান্সের কারবার। বিঘার পর বিঘা জমি কিনে নিচ্ছে সাধারণ মানুষের। সেই লোকের জমিতে মিটিং। কেন? বিজেপি ভাগ পায় বুঝি! চিটফান্ড মালিকের থেকে সুবিধা নেবে, আবার সারদা-নারদের কথা বলবে, এসব চলে নাকি! এই সময় হাতে থাকা কিছু কাগজপত্র তুলে ধরে মমতা বলেন, এখানে সব কাগজপত্র আছে। পিএসও স্বরূপ গোস্বামীকে সেই কাগজপত্র দিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, এগুলো পুলিসকে দিয়ে দাও। ওরা তদন্ত করে দেখতে পারে।