কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ফেডারেশনের বৈঠকে কোর কমিটির সদস্যদের ডাকা হয়েছে। এখন কমিটিতে ১৪ জন সদস্য আছেন। কয়েক মাস আগে সংগঠন ও দল বিরোধী কাজ করার জন্য কোর কমিটির এক প্রভাবশালী সদস্যকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে তাঁকে হলদিয়ায় বদলি করে দেওয়া হয়। তাঁকেও সোমবারের বৈঠকে ডাকা হয়েছে। ফেডারেশন সূত্রের খবর, বামফ্রন্ট সরকারের সময়ে সংগঠনের হয়ে যাঁরা লড়াই করেছিলেন, তাঁদের সামনের সারিতে নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। সেই সময় সক্রিয় ছিলেন এমন দুই নোতা এখন ফেডারেশনে নেই। তাঁদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হচ্ছে। ওই নেতাদের একজন এখন বামপন্থী কর্মী সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কয়েক মাস আগে তাঁকে কলকাতার সচিবালয় থেকে উত্তরবঙ্গে বদলি করে দেওয়া হয়। ওই নেতা অবশ্য সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ফেডারেশনে ফেরার ব্যাপারে তিনি কোনও চিন্তাভাবনা করছেন না। কোনও প্রস্তাবও পাননি।
ফেডারেশনে সংগঠনের শীর্ষপর্যায়ে কিছু রদবদলের প্রয়োজন আছে। তিন আহ্বায়কের মধ্যে দু’জন অবসর নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী অবসর নিয়ে সংগঠনের পদে থাকা যায় না। ফেডারেশনের অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ নেতা যাঁদের মেন্টর কমিটিতে রাখা হয়েছিল, তাঁরা এখন কোনও বৈঠকে ডাক পান না। সোমবারের বৈঠকে তাঁদের ডাকা হয়নি। এ নিয়ে প্রবীণ নেতাদের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বের হওয়ার পর তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠন বেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। বিজেপি প্রভাবিত কর্মচারী পরিষদ নিজেদের সংগঠন বাড়তে সক্রিয় হয়েছে। কেএমডিএ সহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের তাদের নতুন সংগঠন তৈরি হচ্ছে। কর্মচারী পরিষদের নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূল প্রভাবিত কর্মী সংগঠন সহ বিভিন্ন কর্মী সংগঠন থেকে অনেক নেতা ও সদস্যারা যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বকেয়া থাকা ও ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ এখনও কার্যকর না হওয়ায় এবারের লোকসভা নির্বাচনে কর্মীদের ভোট অনেকটাই তৃণমূলের বিরুদ্ধে গিয়েছে বলে ফেডারেশনের নেতারাও মনে করছেন। কিন্তু পাশাপাশি তাঁরা এটাও বলছেন, কর্মীদের জন্য সরকার যে অনেক কিছু করেছে, তা নিয়ে সেভাবে প্রচার হয়নি সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে। বছরে মাত্র একবার করে কোর কমিটির বৈঠক হচ্ছে।