কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
দিল্লি সূত্রের খবর, আগামী ১৩ জুন সর্বভারতীয় বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসতে চলেছে। সেখানে বাংলা নিয়ে আলাদা করে প্রস্তাব পাশ হতে পারে। রাজ্যে এ যাবৎ নিহত ৬৪ জন বিজেপি কর্মীর বিবরণ তুলে ধরে বাংলায় গণতন্ত্রহীনতার দাবিকে জাতীয় পর্যায়ে তুলে আনা হতে পারে। প্রসঙ্গত, গত ২৩ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিল এ রাজ্যের বিজেপির ‘শহিদদের’ পরিবারগুলি। এবার গেরুয়া শিবিরের এই আত্মবলিদানের কাহিনীকে দলের সর্বোচ্চ কমিটির প্রস্তাবের মধ্যেও যুক্ত করতে চলেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে দিল্লির এক নেতা বলেন, বাংলায় বিজেপি কর্মীদের উপর তৃণমূলী অত্যাচার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। লোকসভা ভোটে বিজেপির আশাতীত সাফল্যে বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা চরম আকার নিয়েছে। গোটা দেশে যা কার্যত নজিরবিহীন। সেই ঘটনাগুলিকে আমরা দলের রাজনৈতিক প্রস্তাবনায় আনার কথা গুরুত্ব দিয়ে ভাবছি। অন্যদিকে, সন্দেশখালির ঘটনায় আগামীদিনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এ রাজ্যে আসতে পারে বলেও দাবি করেছেন ওই কেন্দ্রীয় নেতা।
শনিবার রাতে সন্দেশখালিতে খুন হন বিজেপির একাধিক কর্মী। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি রীতিমতো সরগরম হয়ে ওঠে। দলীয় নির্দেশে রাজ্যের সর্বত্র এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন অসংখ্য কর্মী-সমর্থক। কলকাতার উত্তর এবং দক্ষিণে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা চরম অবনিতর অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করেন গেরুয়া শিবিরের লোকজন। এদিন দুপুরে রাজ্য বিজেপি পার্টি অফিসের সামনে এই বিক্ষোভে অংশ নেন দলের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির যুব মোর্চার তরফে আয়োজিত এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কুশপুতুল দাহ করা হয়। একইভাবে কলকাতা দক্ষিণে হাজরা মোড়ে প্রতিবাদে শামিল হন বিজেপি কর্মী-নেতারা। দীর্ঘক্ষণ রাস্তা আবরোধ করে রাখা হয় সেখানে। পুলিস তা তুলতে গেলে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। বিজেপির দাবি, কলকাতা উত্তর ও দক্ষিণে যথাক্রমে ৩৫ এবং ৪২ জনকে পুলিস গ্রেপ্তার করে।