কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
রেশন গ্রাহকদের ভর্তুকি দেওয়ার ক্ষেত্রে আধার নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক করার পক্ষে আগেই সায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ। এই কাজ করার সময়সীমা দফায় দফায় বাড়িয়েছে কেন্দ্র। এখনও পর্যন্ত ৩০ জুন পর্যন্ত এই সময়সীমা আছে। কয়েকদিন আগে দিল্লি থেকে খাদ্য মন্ত্রকের আধিকারিকরা বিভিন্ন রাজ্যের খাদ্য দপ্তরের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন। সেখানে ৩০ জুনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে সমস্যা হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য খাদ্য দপ্তর এখনও আশা করছে, এই সময়সীমা আরও কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য অনেক রাজ্য আধার সংযুক্তিকরণে পিছিয়ে আছে।
খাদ্য দপ্তর ইতিমধ্যে ডিলারদের ই-পিওএস যন্ত্রে গ্রাহকদের আধার নম্বর সংযুক্তিকরণ করার জন্য নির্দেশিকা জারি করেছে। তবে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, রেশন দোকানে গ্রাহকদের খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার সময় আধার নম্বর যাচাই করা হবে কি না, সে ব্যাপারে নবান্নের অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা অনুযায়ী ই-পিওএস যন্ত্রে রেশন গ্রাহকদের আঙুলের ছাপের মাধ্যমে আধার নম্বর যাচাই করতে হবে। তারপরই খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হবে। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে এটা করতে চাইছে কেন্দ্র। কিন্তু রেশন ডিলারদের এতে আপত্তি আছে। ইন্টারনেট দুর্বল হওয়ার জন্য আধার যাচাই করা না গেলে গ্রাহকরা খাদ্যসামগ্রী পাবেন না। তখন ডিলারদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু। রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমনিতেই অশান্ত। এরপর এটা নিয়ে গোলমাল বেধে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। রাজ্য সরকার রেশনে আধার ব্যবহারের নীতিগত বিরোধী হওয়া সত্ত্বেও রাজ্যের নিজস্ব ভর্তুকিতে চলা দুটি খাদ্য সুরক্ষা প্রকল্পে কেন আধার নম্বর যাচাই করা হবে, সেই প্রশ্নও এদিনের সম্মেলনে ডিলাররা তুলেছেন।
তাছাড়া ই-পিওএস যন্ত্র নিলেও, তা দিয়ে কাজ করতে আপত্তি রয়েছে রেশন ডিলারদের। খাদ্য দপ্তর এখন ডিলারদের যন্ত্র ব্যবহারের জন্য প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিলেও আপাতত ওই যন্ত্র চালু করা হবে না বলেও এদিনের সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত রেশন ব্যবস্থা কম্পিউটার পরিচালিত করার সময় পাওয়া যাবে। তাই আপাতত ওই সময় পর্যন্ত যন্ত্র চালু না করার জন্য রাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানাবে ডিলারদের সংগঠন।