কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
বিধানসভা অধিবেশন মুখ্যমন্ত্রী এড়িয়ে যান। কংগ্রেস সহ বিরোধীদের এই অভিযোগ বরাবরের। গোটা দেশের তুলনায় এরাজ্যে অধিবেশনের গড় মেয়াদ যথেষ্ট কম। গত ফেব্রুয়ারিতে তিনদিনের নজিরবিহীন সংক্ষিপ্ত বাজেট অধিবেশন হয়েছে। রাজ্যপালের ভাষণের উপর বিতর্ক ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন প্রস্তাব পাশ না হয়েই মুলতুবি হয়ে গিয়েছে অধিবেশন। এই নিয়ে নিত্যদিন ক্ষোভ জানিয়ে এসেছেন বিরোধী সদস্যরা। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত বদলে দিয়েছে রাজ্যের রাজনীতির সমীকরণ। তাই ভোটের আগে যে ভাষায় রাজ্যের শাসকদলকে বিঁধতেন বিরোধী নেতারা, এখন তা বদলাতে শুরু করেছে। কারণ শাসক ও বিরোধীর ঘোষিত অভিন্ন শত্রু এখন বিজেপি। বিজেপির সুবিধা হতে পারে, একান্ত বাধ্য না হলে এমন কিছু করতে চাইছে না বিরোধীরা।
জাতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি এবং রাজ্যে তৃণমূল, এই দুই শক্তির বিরোধিতা করে ভোটে নেমেছিল বিরোধীরা। শত্রু অভিন্ন হলেও বাম-কংগ্রেস শত চেষ্টাতেও জোট গড়তে পারেনি। সেই নিয়ে দুই পক্ষের আফশোস কম নেই। এখনও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূল বিরোধিতায় সুর নামানোর পক্ষপাতী নয়। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র রাজ্যে দলের বিপর্যয়ের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেছেন, তৃণমূলের অত্যাচারের বিরুদ্ধে মানুষের কাছে তাঁরা বিকল্প হয়ে উঠতে পারেননি বলেই বিজেপিতে ভোট চলে গিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই জারি রাখার পক্ষেই সওয়াল করেছেন তিনি। কিন্তু এতটা একমাত্রিক ভাবনা তাঁর পক্ষে সহজ হবে না বলেই মনে করেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তাঁর মতে, আগে যেভাবে বিরোধী ভূমিকা পালন করতাম, তা নিয়ে ভাবতে হবে। আমরা এমন কিছু করব না (পড়ুন তৃণমূল বিরোধিতার নামে) যাতে বিজেপি উৎসাহিত হয়ে পড়ে। তাই ভাবনা-চিন্তা করেই পা ফেলতে হবে বলে মনে করেন মান্নান। পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ চক্রবর্তী অবশ্য তৃণমূল সম্পর্কে তাঁর অবস্থান বদলাতে রাজি নন। তিনি বলেন, গত লোকসভায় বিজেপি ও তৃণমূল দুজনের সঙ্গেই লড়তে হয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের প্রত্যক্ষ অত্যাচার কংগ্রেস কর্মীরা সহ্য করেছেন। আমাদের কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়েছে। বিধানসভায় আমাদের যতটুকু শক্তি থাকবে, তা নিয়ে সরব হতেই হবে। রাজ্যের শাসকের বিরোধিতা করলে কেন্দ্রের শাসকদল সুবিধা পাবে, এই তত্ত্ব মানা সম্ভব নয়।