কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান, গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে স্বাস্থ্য ও শিক্ষার পরিষেবা পৌঁছে যাক। অপুষ্টিতে যেন কেউ না ভোগে। আইসিডিএসের মাধ্যমে সকলের কাছে খাবার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য জোরদার প্রশিক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত লোকসভায় গ্রামের ভোটে প্রভাব পড়েছে। ভবিষ্যতে তা যাতে মেরামত করা যায়, তার জন্য বাড়ি বাড়ি স্বাস্থ্য সহ নানা পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর জন্য প্রতিটি পঞ্চায়েতে উপসমিতি তৈরি করে বাড়ি বাড়ি সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ব্যবস্থাকে আরও দক্ষ ও কর্মতৎপর করে তুলতে গ্রামস্তর পর্যন্ত প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। এর জন্য ইতিমধ্যে ৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচন মিটে গিয়েছে। ভোটের আগে কিছু প্রশিক্ষণ হয়েছে। এবার জুন মাসজুড়ে সেই প্রশিক্ষণ চলবে। পঞ্চায়েত প্রধান, উপপ্রধান, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তো বটেই, এবার গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসারদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গ্রাম পঞ্চায়েত ছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ সভাধিপতি সহ সদস্যদের ওই আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সেখানকার অফিসারদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষণে যেমন গ্রামীণ উন্নয়নের জন্য চলা ২৫-২৬টি কর্মসূচি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা হবে, তেমনই কম্পিউটার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। স্মার্ট প্রশাসন চালানোর লক্ষ্যেই একেবারে তৃণমূল স্তরের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক করে তুলতে কম্পিউটারে জোর দেওয়া হয়েছে। আগেও পঞ্চায়েত দপ্তর প্রশিক্ষণ দিয়েছে, এবার একেবারে নিচুতলায় সেই প্রশিক্ষণ পৌঁছে দিতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
জেলার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণপর্ব চলবে। এর জন্য প্রতিটি জেলায় আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। ভোটের মধ্যেই পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে জেলায় জেলায় এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের ৩২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৫৮ হাজার নির্বাচিত সদস্যকে ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত দপ্তরের এক কর্তা বলেন, গত বছর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি গঠন করতে পুজো চলে আসে। গ্রাম পঞ্চায়েতের কমিটি গঠন হয় পুজোর পরে। তার কাজ শুরু হতে সময় লেগে যায়। মাস দুয়েক ধরে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের কমিটি গঠনের পর কাজ শুরু করতে লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ফলে সব কাজ থমকে যায়। ভোট মিটে যাওয়ার পর এখন প্রথম কাজ হল এই প্রশিক্ষণপর্ব।