যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
দিন কে দিন কলকাতা সহ রাজ্যে নির্বাচনী সাফল্যের রেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী তৃণমূলের। সেই সুবাদেই বেড়েছে দলের সংগঠন। দলের এক রাজ্য নেতার মতে, প্রতিটি বুথ ধরে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া ছিল। বুথ কমিটির মধ্যে থেকেই বাছাই করা হয়েছিল পোলিং এজেন্ট। ভোটারদের বুথে আনা থেকে ক্যাম্প অফিস সামলানো- সবটাই আলাদা আলাদা দায়িত্বভাগ করে দেওয়া হয়েছিল। সেই অনুসারেই এদিনের ভোট পরিচালিত হয়। তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুমে রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকে নিয়ে হাজির থাকতেন। এবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমের পাশাপাশি বেহালা পূর্ব কেন্দ্রও সামাল দিতে হয়েছে তাঁকে। কেননা ওই কেন্দ্রের বিধায়ক কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় বেশ কিছুদিন ধরে নিষ্ক্রিয়। স্বভাবতই, তৃণমূলের সর্বাধিক মর্যদার আসন দক্ষিণ কলকাতার অন্তর্ভুক্ত এই বিধানসভার ভোট সংগঠনের দায়িত্ব প্রথম থেকেই ছিল পার্থবাবুর হাতে। কলকাতা বন্দরের বিধায়ক ফিরহাদ হাকিম ভোট প্রচারে গোটা রাজ্য চষেছেন। এদিন ভোট পরিচলনা করেছেন নিজের এলাকায় বসে। সকালে সপরিবারে ভোট দিয়েই দিনভর ব্যস্ত থাকলেন দলীয় সতীর্থদের সঙ্গে। যাদবপুর কেন্দ্রের মধ্যে টালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। ওই কেন্দ্রের বিধায়ক হলেও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের উপর যাদবপুরের প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর ভোটের দায়িত্ব ছিল। তাই নিজের তো বটেই, সাতটি বিধানসভার ভোট করানো ও আনুষঙ্গিক কাজেই কাটিয়েছেন তিনি। বিধাননগরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সুজিত বসু বারাসত কেন্দ্রের একাংশের ভোট নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। নিজের এলাকা লেকটাউন ও সল্টলেকের দিকেই তাঁর নজর ছিল এদিন। তাঁর লক্ষ্য এই এলাকা থেকে দলের পক্ষে ভোটের ব্যবধান বাড়ানো। কেননা, বিগত লোকসভায় এই বিধাননগরে তৃণমূলের যে ঘাটতি ছিল, তা ২০১৬ সালে পূরণ করে আসন দখল রাখতে সমর্থ হয়েছিলেন। এবার সেই ব্যবধান ধরে রাখার চাইতেও তা বাড়ানোই একমাত্র লক্ষ্য ছিল সুজিতবাবুর। মধ্যমগ্রামে জেলা অফিসেই কন্ট্রোল রুমে বসে ভোট পরিচালনা করলেন উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যেতিপ্রিয় মল্লিক। বারাসত, বসিরহাট ও দমদমের সঙ্গে এদিন ভাটপাড়ার বিধানসভা উপনির্বাচন ছিল তাঁর দায়িত্বে। দিনভর ভাটপাড়ায় গোলমালের জেরে তাঁকে বেশি নজরদারি রাখতে হয়েছিল সেখানে। সল্টলেকের এই বাসিন্দা সকালে ভোট দিয়েই সোজা মধ্যমগ্রামে জেলা অফিসে চলে যান। সেখানে স্থানীয় বিধায়ক রথীন ঘোষ সহ এক ঝাঁক কর্মী নিয়ে ফোনে ফোনেই ভোট পরিচালনা করলেন তিনি।