যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এদিন বেলা আড়াইটে নাগাদ গাড়ির কনভয় নিয়ে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র নয়াবাজার হয়ে কাঁটাপুকুরের দিকে যাচ্ছিলেন। নয়াবাজারে একটি মসজিদের কাছে তিনি দাঁড়ান। সেখানে দলীয় অনুগামীদের সঙ্গে তিনি বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। পরে কাঁটাপুকুর দিয়ে বাবু কোয়ার্টারে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। সেই মতো কনভয় কাঁটাপুকুরের দিকে যাচ্ছিল। মদনের গাড়িতেই দলের ভাটপাড়া বিধানসভার নির্বাচনী কমিটির আহ্বায়ক সোমনাথ শ্যাম ছিলেন। সোমনাথবাবু বলেন, গাড়ির সামনের আসনে মদনদা বসেছিলেন। গাড়ি কিছুটা এগতেই প্রায় ২০০ মিটার দূরে রাস্তার উপর কয়েকশো মানুষের জমায়েত দেখতে পাই। তারপর লক্ষ করলাম, তারা হাতে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে। আমাদের দিকে ধেয়ে আসতে থাকে। গন্ডগোল এড়াতে আমরা গাড়ি ঘুরিয়ে নিতেই ওরা আমাদের গাড়ির পিছনে মুড়িমুড়কির মতো বোমা ছুঁড়তে শুরু করে। দেদার গুলি চলে। গুলিতে আমাদের দুই কর্মী জখম হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাঁটাপুকুরের এই গণ্ডগোল দাবানলের মতো ভাটপাড়ার একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। পুরসভার সামনে এলোপাথাড়ি বোমাবাজি হয়। ঘোষপাড়া রোড জুড়ে বোমাবাজি চলতে থাকে। তৃণমূলের অভিযোগ, ৬ নম্বর গলিতে দলীয় অফিস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কাঁকিনাড়া লাইনে শতাধিক বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আতঙ্কে বহু মানুষ এলাকা ছাড়া হয়ে গিয়েছেন। বহু ভোটার বুথে ভোট দিতে গিয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাহিনী গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামলায়। বারাকপুর পুলিস কমিশনার সুনীল চৌধুরী ঘটনাস্থলে যান। এলাকায় পুলিসবাহিনী রুটমার্চ করে। বিজেপি নেতা অর্জুন সিং বলেন, পুলিসের সামনে তৃণমূলের সমাজবিরোধীরা আমার বাড়ির সামনে বোমাবাজি করছে। বিজেপির ছাপ্পা ভোটের কারণে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে ভাটপাড়ার ২৯, ৩২, ৩৩, ৩৪ এবং ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ফের ভোটের দাবি জানানো হয়েছে।