বিতর্ক বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থ উপার্জনের সুযোগ। ... বিশদ
পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আব্দুল কাদের সৈফিলি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকে কলেজগুলির টিআইসি পদে থাকা অধ্যাপকদের পিএইচডি ডিগ্রি থাকা আবশ্যিক করা হয়েছিল। মাথাভাঙা কলেজের টিআইসি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকার সময়ে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। একমাস আগে কলেজ পরিচালন সমিতি টিআইসি পরিবর্তন করে। কলেজের সিনিয়র ও পিএইচডি ডিগ্রিধারী অধ্যাপককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ছুটিতে যাওয়ার জন্য সাময়িক দায়িত্ব কাকে দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
মাথাভাঙা কলেজের টিআইসি অধ্যাপক গুরুচরণ দাস বলেন, আমি শুক্রবার থেকে পাঁচদিনের ছুটিতে যাচ্ছি। শুক্রবার কলেজে পিএইচডি ডিগ্রিধারী কোনও অধ্যাপককে পাইনি। তাই অন্য এক অধ্যাপককে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এরবেশি কিছু বলতে পারব না। তবে প্রাক্তন টিআইসি অধ্যাপক রেবতীমোহন রায় অবশ্য দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুসারে একজন পিএইচডি ডিগ্রিধারীকে দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল। কেন মানা হল না তা বুঝতে পারছি না। টিআইসি স্থায়ী পোস্ট নয়,তাই সাময়িক বা দীর্ঘসময় দুটি একই বিষয়।
মাথাভাঙা কলেজে দীর্ঘদিন ধরে অধ্যক্ষ নেই। কলেজের প্রশাসনিক কাজ বিগত প্রায় চার বছরেরও বেশি সময় ধরে করে আসছেন অধ্যাপক রেবতীমোহন রায়। টিআইসি পদে থাকতে গেলে পিএইচডি ডিগ্রি আবশ্যিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নিয়মে টিআইসি পদ থেকে সরতে হয় বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক রেবতীমোহনবাবুকে। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয় সিনিয়র অধ্যাপক গুরুচরণ দাসকে। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, কলেজে পিএইচডি রয়েছে এমন সিনিয়র ও জুনিয়র অধ্যাপক রয়েছেন দশজন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই রেবতীমোহন রায় টিআইসি থাকার সময়ে সাময়িকভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। টিআইসি ছুটিতে যাওয়ায় তাঁদের বাদ দিয়ে পিএইচডি নেই এমন একজন অধ্যাপককে দায়িত্ব দেওয়ার ঘটনায় কলেজের অধ্যাপকদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন।