সংবাদদাতা, দিনহাটা: শ্বশুরবাড়ির এলাকা থেকে বান্ধবীদের এনে বাপের বাড়ির পাড়ায় চুরি। সোনার দোকানে হানা। কিন্তু সিসি ক্যামেরার কল্যাণে ধরা পড়ে গেল চুরির ঘটনা। বৃহস্পতিবার বাপের বাড়ি এলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। লক্ষ্মী বর্মন নামে ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে খোঁজ মেলে তার আরএক বান্ধবীর। শিলিগুড়ি থেকে শুক্রবার অলকা সাহা নামে ওই  মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দিনহাটা শহরে সোনার দোকান থেকে চুরি যাওয়া দু’টি মালা ও তিনজোড়া কানের দুল উদ্ধার হয়েছে। গ্যাংয়ের আরও দুই সদস্যার খোঁজ  চলছে। লক্ষ্মী বর্মনের শ্বশুরবাড়ি শিলিগুড়িতে। দিনহাটার বাত্রীগছে তার বাপের বাড়ি। ৮ জানুয়ারি তিন বান্ধবীকে নিয়ে দিনহাটা শহরে আসে লক্ষ্মী। ক্রেতা সেজে এক সোনার দোকানে ঢুকে পড়ে চারজন। দোকানদারে সন্দেহ হওয়ায় গয়না  নেই বলে জানিয়ে দেন। এরপরে অন্য একটি দোকানে ঢোকে এই গ্যাং। দুপুর বেলা বয়স্ক মালিক একাই ছিলেন দোকানে। তাকে অন্যদিকে ব্যস্ত করে একাধিক গয়না ব্যাগে ঢুকিয়ে নেয় চম্পট দেয় এই চারজন। কিছুদিন পরে সোনার গয়নার হিসেব না মেলায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করেন দোকানের মালিক। পুরনো ফুটেজে ধরা পড়ে যায় চার মহিলার কীর্তি। দিনহাটা থানায় সিসিটিভি ফুটেজ জমা দেওয়া হয়। রাজ্যজুড়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয় সেই ফুটেজ। বৃহস্পতিবার এনজেপিতে লক্ষ্মী বর্মনকে লক্ষ্য করেন এক ব্যক্তি। তিনি পুলিসকে খবর দেন। ট্রেনে চেপে লক্ষ্মী কোচবিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। লক্ষ্মীকে ধরার জন্য বাত্রীগছে বাপের বাড়িতে ওঁত পেতে থাকে পুলিস। বাত্রীগছে ফিরলেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কথা সূত্র ধরেই শিলিগুড়িতে বাকি সঙ্গীদের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিস। অলকা সাহাকে পুলিসের হাতে ধরা পড়লেও বাকিরা পালিয়ে যায়। অলকা সাহার কাছে একটি সোনার মালা ও দুজোড়া সোনার দুল উদ্ধার হয়েছে। দিনহাটা মহকুমা পুলিস আধিকারিক ধীমান মিত্র বলেন, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে অভিযান চলছে।