দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে পালিত রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে সাড়ম্বরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পালিত হল। তমলুকে জেলাশাসকের অফিসে জেলার মূল অনুষ্ঠানটি হয়।
নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম: শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলাজুড়ে সাড়ম্বরে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পালিত হল। তমলুকে জেলাশাসকের অফিসে জেলার মূল অনুষ্ঠানটি হয়। রবীন্দ্রসংগীত, নৃত্য, নৃত্যনাট্য ও আবৃত্তি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে যথাযথ মর্যাদায় দিনটি পালিত হয়। জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী, দুই অতিরিক্ত জেলাশাসক নেহা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অনির্বাণ কোলে, তমলুকের বিধায়ক সৌমেন মহাপাত্র সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে মেচেদা বিদ্যাসাগর স্মৃতি ভবনের সামনে বিশ্বকবির ১৬৫তম জন্মদিন পালন করা হয়। প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সঙ্গীত, আবৃত্তি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়। সংগঠনের সভাপতি দিলীপ মাইতি, সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা সহ আরও অনেকে ছিলেন।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় উৎসবের ন্যায় পালিত হল রবীন্দ্র জয়ন্তী। এদিন মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুর চক এলাকায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মূর্তিতে মাল্যদান করেন একাধিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। এছাড়া জেলা তৃণমূলের উদ্যোগেও রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুজয় হাজরা সহ জন প্রতিনিধিরা। এছাড়া মেদিনীপুর শহরের রবীন্দ্র নিলয় হলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। পাশাপাশি চন্দ্রকোণা রোড, কেশপুর, খড়গপুর, ঘাটাল সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হয়। এদিন বিকেলেও নানা অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাধারণ মানুষ।
মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক সুজয় হাজরা বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা তথা বাঙালির আবেগ। এদিন সারা দিন ধরেই জেলার নানা প্রান্তে অনুষ্ঠান হয়েছে।
ঝাড়গ্রামে উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হয়েছে। শহর ও জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শ্রদ্ধার সঙ্গে দিনটি স্মরণ করা হয়।
শুক্রবার সকালে পুরাতন ঝাড়গ্রাম উন্নয়নী সংঘের তরফে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। ঝাড়গ্রাম ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের উদ্যোগে এই বছর প্রথম রবীন্দ্র জয়ন্তী পালিত হয়। মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি, জেলাশাসক সুনীল আগরওয়াল, মহকুমা শাসক শুভ্রজিৎ গুপ্ত উপস্থিত ছিলেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। জেলা সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি সাঁওতালি ভাষায় ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির’ আবৃত্তি করেন। গোপীবল্লভপুর-২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করা হয়। বেলিয়াবেড়া থানার পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে থানা এলাকার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ৩৫ জন কৃতি ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
